শেখ হাসিনার ভাষণ শুনলে বুঝবেন ঘটনা কোনদিকে যাচ্ছে : শামীম ওসমান
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ফতুল্লার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘জাতির জনকের কন্যা বুধবার শোক দিবসের সভায় ভাষণ দিয়েছেন। ওই ভাষণ ফলো করলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে ঘটনা কোনদিকে মোড় নিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে আমাদের কৈশোর হারিয়ে গেছে। ওই দিন থেকে বাংলাদেশ পেছনে যেতে থাকে। আমাদের রাজনীতিতে আসতে হয় গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য।’
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ফতুল্লার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘শেখ হাসিনা মাত্র ৩১ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন। ওরা কিন্তু ক্ষান্ত হয়নি। জাতির জনকের কন্যাকে ২২ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। নারায়ণগঞ্জে ২০০১ সালে বোম ব্লাস্ট হয়েছিল। তখন একটা কথাই বলেছিলাম, শেখ হাসিনাকে বাঁচান। কারণ আমি মারা গেলে কিছু হবে না। শেখ হাসিনা না থাকলে মানুষের স্বপ্ন পূরণ হবে না।’
তিনি বলেন, ‘‘১৫ আগস্ট শুধু বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা করা হয়নি। হত্যা করা হয়েছিল আমাদের স্বপ্নকে। আজ এখানে দাঁড়িয়ে আমরা যারা রাজনীতি করছি, আমাদের রাজনীতি করার কথা ছিল না। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে দেশটা অন্যরকম থাকত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমি মানুষের অধিকার চাই।’ তিনি সারাজীবন জেলে কাটিয়ে জনগণকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। পাকিস্তানিরা তাকে হত্যা করতে পারেনি। কিন্তু মোশতাক, জিয়াউর রহমানসহ ওরা পেছন থেকে কলকাঠি নেড়ে জাতির জনককে হত্যা করেছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘জাতির পিতা জাতিসঙ্ঘে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তা তার মৃত্যুর কারণ। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি শোষক নয়, শোষিতের পক্ষে।’ এ কথাটা বিশ্ব মোড়লরা ভালোভাবে নেয়নি। যারা স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল, তারা এটা ভালোভাবে নেয়নি। তখনও তারা সেন্টমার্টিন দ্বীপ চেয়েছিল, বঙ্গোপসাগর চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, কারো কাছে আমি দেশের জমি বিক্রি করব না।’’
তিনি জানান, ‘‘শেখ হাসিনা হত্যার পরিবর্তে হত্যা করেননি। ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর আমরা ৫০ থেকে ৬০ জন বলেছিলাম যে স্পেশাল ট্রাইবুনালে এক বছরের মধ্যে বিচার করে তাদের ফাঁসি দেন। তিনি বললেন, ‘না, আমি প্রচলিত আইনেই বিচার চাইব।’ ১৬ জুন বোমা হামলার পর খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আমরা নাকি শেখ হাসিনার পরিবারের নিরাপত্তা আইন পাশ করানোর জন্য বোমা মেরে আমাদের ২০ জন লোককে হত্যা করেছি। এত নোংরা ও নৃশংস তারা।’’
তিনি আরো বলেন, ‘২০০১ সালের পর আমাদের কত মানুষ তারা মেরেছে আপনারা জানেন। এই হাত দিয়ে ৫০ জনের লাশ দাফন করেছি। আমরা কিন্তু কাউকে খুন করিনি। আমরা কারো বাড়িতে আগুন দেইনি, কারো অর্থ সম্পদ লুট করিনি। কারণ আমাদের কাজ মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়া। এটাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।’