লোকসভার আগেই ফ্রিজ হয়ে গেল কংগ্রেসের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট!
চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: কংগ্রেসের ওপর রয়েছে ২১০ কোটি টাকা করফাঁকির অভিযোগ। আর তা ঘিরেই কড়া পদক্ষেপ আয়কর বিভাগের। লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন। তিনি এই পদক্ষেপকে ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য বিরক্তিকর আঘাত’ বলে বর্ণনা করেছেন। আয়কর বিভাগ ২১০ কোটি টাকার ট্যাক্স দাবি করেছে। সেখান থেকেই এই ফ্রিজ করার বিষয়টি এসেছে বলে কংগ্রেস দাবি করেছে। কংগ্রেসের দাবি, রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দলের নির্বাচনী প্রস্তুতিকে ব্যাহত করার জন্য
কৌশলগতভাবে এই কাজ করা হয়েছে। অজয় মাকেন বলেন, 'অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করায় বেতন দেওয়া যাচ্ছে না। কোনও বিলও দেওয়া যাচ্ছে না। এর ফলে শুধু ন্যায়যাত্রা নয়, ক্ষতি হবে দলের সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও। বৃহস্পতিবার জানতে পারা যায় আমরা যে চেক দিচ্ছি, তা ব্যাংক গুলিতে ভাঙানো যাচ্ছে না। পরে তদন্ত করে দেখা গিয়েছে যুব কংগ্রেসের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। কংগ্রেস পার্টির অ্যাকাউন্টও সিজ করা হয়েছে।
তালাবন্দি করা হচ্ছে দেশকে। ভেঙে পড়ছে দেশের গণতন্ত্র। ''অজয় মাকেন জানান, ২০১৯ অর্থবর্ষে কংগ্রেসের ও যুব কংগ্রেসের বিশাল অঙ্কের করফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। অঙ্কটা পৌঁছেছে ২১০ কোটিতে। এর ফলে কার্যত দেউলিয়া দশা দেশের দশক প্রাচীন পার্টির। লোকসভা ভোটের আগে এই বড় বিপত্তিতে কার্যত মাথায় হাত রাহুলদের। মাকেনের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই দলের প্রতি এমন আচরণ করছে কেন্দ্র।
তিনি বলেন, নির্বাচনী বন্ড নয়, এই টাকা এসেছিল ক্রাউডফান্ডিং থেকে। তাও নির্বাচনের ঠিক আগেই এভাবে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়াটা একেবারেই রাজনৈতিক কারণ। কংগ্রেস এই ফ্রিজের প্রতিক্রিয়ায় আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে, বিষয়টি বর্তমানে আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালের সামনে রয়েছে। একটি সাংবাদিক সম্মেলনে মাকেন ব্যাখ্যা করেছিলেন যে শুনানি মুলতুবি থাকায় তারা আগে তথ্য প্রকাশ না করা পন্থা বেছে নিয়েছিলেন। সূত্র : ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস