রাষ্ট্রকে মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে হবে : পলক

রাষ্ট্রকে মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে হবে : পলক

প্রথম নিউজ, নাটোর : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান এ পাঁচটি মৌলিক চাহিদা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। ৫২ বছর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ পাঁচটি মৌলিক চাহিদা চিহ্নিত করে গেছেন। আজ সারা বিশ্বের সকল নেতা এটা মেনে নিয়েছেন।

রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে নাটোরের সিংড়া ডায়াবেটিক সমিতির চক্ষু ইউনিটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সিংড়ার ৫ লাখ মানুষের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা দুটি লক্ষ্য স্থির করেছি। সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং একটি মা ও শিশু বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করা। এগুলো বাস্তবায়নে আমরা ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। এর পাশাপাশি যে সকল মানবিক উদ্যোগ নেওয়া দরকার আমরা তা গ্রহণ করবো।


তিনি আরও বলেন, রাস্তাঘাট, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের এই এলাকার মানুষের সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা ছিল স্বাস্থ্যসেবা। আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত ডাক্তার ছিল না। জটিল কোনো রোগের চিকিৎসা ছিল না, আধুনিক চিকিৎসার সরঞ্জাম ছিল না। কোনো প্রকার সার্জারির ব্যবস্থা ছিল না। একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স ছিল। ডায়াবেটিসসহ যেকোনো জটিল রোগের পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য আমাদের সিংড়াবাসীকে নাটোর ও রাজশাহীতে যেতে হত। আমি ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সিংড়ায় একটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করি। আজ সিংড়া ডায়াবেটিক হাসপাতাল সিংড়াবাসীর আধুনিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে আস্থা ও ভরসায় পরিণত হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডায়াবেটিক রোগীদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকে। চোখের সমস্যা তার মধ্যে অন্যতম। আমাদের দেশে অনেক শিশু জন্মগতভাবেই চোখের সমস্যায় ভোগে। কিন্তু সামান্য পরীক্ষার অভাবে রোগ নির্ণয় করতে পারে না এবং ধীরে ধীরে চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে। আমরা ক্যাম্প পরিচালনা করে চক্ষু পরীক্ষার মাধ্যমে সেই সকল রোগীর সমস্যা শনাক্ত করে চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদের যে আনন্দ তা আমরা উপলব্ধি করেছি। তাই আমরা সিংড়া ডায়াবেটিক হাসপাতালে চক্ষু ইউনিটের স্থাপনের উদ্যোগ নিই। আজ থেকে সপ্তাহে ৬ দিন (শনি-বৃহস্পতি) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এখানে সার্বক্ষণিক একজন চক্ষু চিকিৎসক সেবা দেবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আল ইমরানের সভাপতিত্বে ও সিংড়া ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমাস, রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. আশরাফুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য সরফরাজ নেওয়াজ বাবু প্রমুখ।

এর আগে সকাল ১০টায় নিজ বাসভবনে শীতার্তদের মাঝে ২০ হাজার কম্বল বিতরণের উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।