রিজার্ভ চুরি : যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা খারিজ

ফিলিপাইন ডেইলি ইনকোয়ারারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

রিজার্ভ চুরি : যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা খারিজ
ফাইল ফটো

প্রথম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে যে মামলা করা হয়েছিল তা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। ‘কোনো এখতিয়ার না থাকায়’ ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের ওই রিজার্ভ চুরির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২০ সালের সিভিল কমপ্লেইন খারিজ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। ফিলিপাইন ডেইলি ইনকোয়ারারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে হ্যাকাররা। ম্যানিলাভিত্তিক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি) ব্যাংকের চারটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চুরি করা অর্থ স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে তা স্থানান্তরিত হয় ফিলিপাইনের একটি ক্যাসিনোতে। এর খুব ক্ষুদ্র একটি অংশ ফিলিপাইনের সিনেটের কাছে ফিরিয়ে দেন কিং অং নামের এক ক্যাসিনো ব্যবসায়ী। রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেখানকার রিজাল ব্যাংককে ২ কোটি ১০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়। নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের একাউন্ট থেকে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা রিজাল ব্যাংককেই চ্যানেল হিসেবে ব্যবহার করেছিল।


এর আগে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ২০২০ সালের মার্চে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মার্কিন আদালতে করা মামলা খারিজ হয়। সে সময় মামলার অভিযোগে বলা হয়, রিজার্ভ চুরির ষড়যন্ত্রের সঙ্গে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরবিসি) কিছু কর্মকর্তা ও অন্য প্রতিষ্ঠান জড়িত। এর মধ্যে অন্যতম বিবাদী ব্লুমবেরি রিসোর্ট করপোরেশন। তাদের মালিকানাধীন সোলায়ার রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনোতেই রিজার্ভের চুরি যাওয়া কিছু অর্থ খরচ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় কেটিয়ার ইনফ্লুয়েন্সড অ্যান্ড করাপ্ট অরগ্যানাইজেশনস অ্যাক্ট বা রিকো ষড়যন্ত্র মামলা খারিজে বিবাদীদের যৌথ আবেদন মার্কিন আদালত মঞ্জুর করে।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সুইফট সিস্টেমে ৭০টি ভুয়া পরিশোধ অর্ডার পাঠিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে মোট ১৯২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার অবৈধভাবে নেওয়ায় চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে একটি পরিশোধ অর্ডারে শ্রীলঙ্কায় দুই কোটি ডলার ও চারটি অর্ডারে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের একটি শাখার ভুয়া গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হয়ে জুয়ার বাজারে চলে যায়। এর মধ্যে চুরি হওয়া কিছু অর্থ দেশে ফেরত আসলেও বড় অংকের অর্থ এখনও আটকেই আছে।