রাজধানীর মোড়ে মোড়ে পুলিশ, সারা দেশে বিজিবির টহল
সরেজমিন দেখা যায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর, বাড্ডা, রামপুরা, প্রেস ক্লাব, যাত্রাবাড়ীতে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের উপস্থিতি। সড়কেও বাড়তি পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। সড়কে যানবাহনের চাপও রয়েছে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন : সারা দেশে সোমবার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণায় আগাম মাঠে নেমেছে পুলিশ। সকাল থেকে রাজধানীতে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। ঢাকাসহ সারা দেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রয়েছে সেনাবাহিনীর টহল। সরেজমিন দেখা যায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর, বাড্ডা, রামপুরা, প্রেস ক্লাব, যাত্রাবাড়ীতে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের উপস্থিতি। সড়কেও বাড়তি পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। সড়কে যানবাহনের চাপও রয়েছে।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ সারা দেশে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। বাড্ডা জোনের সরকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাজম কুমার সাহা বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। বাড্ডা এলাকায় স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল করছে। গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম বলেন, পুলিশের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। সড়কে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে।
ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, বিশৃঙ্খলাসহ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঢাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক রোববার সব আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে গতকালই নতুন করে আন্দোলনের ডাক দেন বাইরে থাকা কয়েকজন সমন্বয়ক। সেই ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার সারা দেশে ‘ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ’ কর্মসূচি এবং ‘প্রতিবাদ সমাবেশ’ করার কথা তাদের। তবে দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোথাও শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি দেখা যায়নি।