রাজধানীতে জামায়াতের মশারী বিতরণ ও মশক নিধন পক্ষ ঘোষণা
আজ রোববার (১৬ জুলাই) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ডেমরা থানার উদ্যোগে আয়োজিত জনসচেনতা সৃষ্টি ও মশারী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: রাজধানীতে এডিস মশা নিধন ও ডেঙ্গু মশার প্রাদুর্ভাবে গত মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) হতে আগামী শনিবার (২৯ জুলাই) পর্যন্ত ১৫ দিনব্যাপী পক্ষ ঘোষণা করছে বাংলাশে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ। সেই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে রাজধানীর ডেমরা এলাকায় সাধারণ জনগণের মাঝে মশারী বিতরণ এবং জনগণকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
আজ রোববার (১৬ জুলাই) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ডেমরা থানার উদ্যোগে আয়োজিত জনসচেনতা সৃষ্টি ও মশারী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী আজ এডিস বাহিত মশার প্রকোপ থেকে আপনাদের রক্ষার জন্য মশারী তুলে দিচ্ছে। সেই সাথে নগরীর সকল এলাকায় কীটনাশক ছিটিয়ে স্প্রে করে পরিবেশটা নিরাপদ করার স্বার্থে আজকে এই কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। সমাজের কল্যাণে মানবতার পাশে জামায়াতে ইসলামী বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। দেশে যখন যে দুর্যোগ ক্রান্তিকাল আসে প্রত্যেক সঙ্কট উত্তরণে জামায়াত সবার আগে জনগণের পাশে এসে দাঁড়ায়। ইতোমধ্যেই খবরে পত্র-পত্রিকা থেকে আমরা জেনেছি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত অসুস্থ ভাই-বোনদেরকে জায়গা দেয়া যাচ্ছে না। এটা সরকারের নিতান্ত অবহেলার ফল। এই পরিস্থিতিতে দরকার ছিল ডেঙ্গু আক্রান্ত ভাই-বোনদের জন্য চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মো: দেলাওয়ার হোসেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শেখ শরিফ উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য মোহাম্মদ আলী, শাহীন আহমদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সরকারের বিশেষ কর্মসূচি নেয়া জরুরি ছিল। ফলশ্রুতিতে এখন হাসপাতালগুলোতে এমন অবস্থা হয়েছে যে সেখানে রোগী ভর্তি রাখার সুযোগ নেই। ডাক্তারগণ এখন বাধ্য হয়েই বলছেন আপনারা বাড়িতেই থাকেন সেখানেই চিকিৎসা গ্রহণ করেন। রোগীর অনেক ক্ষেত্রে আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থার চরম নাজুক ও দুরাবস্থার চিত্র ফুঁটে উঠেছে। আজকে এই পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য দরকার ছিল সরকারিভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা। অথচ সরকার বিরোধী দলকে প্রতিরোধ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তারা জনগণের স্বার্থের দিকে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। সরকার চিরদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য জনগণের আন্দোলন সংগ্রাম প্রতিহত করতেই ব্যস্ত। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিধন করার জন্য তারা অসাংবিধানিকভাবে শক্তি প্রয়োগ করে চলছে।
তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বছরের সব সময় সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে পরিবেশকে সুন্দর রাখার জন্য নানা কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। জনগণ মনে করে এই ঢাকা মহানগরীর সিটি কর্পোরেশন অফিসগুলো পঙ্গু কর্পোরেশন অফিস। এগুলো এখন দলীয় আখড়াই পরিণত হয়েছে। নাগরিকের কোনো সুবিধার ব্যবস্থা এসব অফিসে বসে করা হয় না। আজকে সরকারকে আহ্বান করেও কোনো লাভ নেই তারা জনস্বার্থে ডেঙ্গু এডিস মশা নিধন করবে না বরং তারা নিধন করবে বিরোধী দল, তারা নিধন করবে সমাজে অন্যদের ভালো কাজগুলো। তারা নিধন করবে দেশপ্রেমিক নাগরিকদের। প্রয়োজনে তারা বিচারিক হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের সচেতন নাগরিকদের ফাঁসি দেয়ার ব্যবস্থা করবে। সিলেটে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল সেই সমাবেশকে প্রতিহত করার জন্য সরকার ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। যার কারণে এ সরকারের কাছে আর আহ্বান জানিয়ে কোনো লাভ নেই। এখন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।