রক্তের আত্মীয়কে বিয়ে করা যাবে কিনা, জানালেন গবেষকরা

মঙ্গলবার বিএসএমএমইউতে উইলসন্স রোগীদের জেনেটিক পরিবর্তন ও এর স্নায়ু উপসর্গ নিয়ে গবেষণার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

রক্তের আত্মীয়কে বিয়ে করা যাবে কিনা, জানালেন গবেষকরা

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: জেনেটিক ডিসঅর্ডারের কারণে শরীরে অতিরিক্ত কপার জমা হয়ে মসি্তষ্ক এবং লিভারের ক্ষতিকারক বিরল রোগ হলো ‘উইলসন ডিজিজ'। দেশে উইলসন ডিজিজের নতুন দুটি মিউটেশন শনাক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউরোলজি বিভাগ এবং এনাটমি বিভাগের যৌথ গবেষণায় নতুন ধরনের বিষয়টি উঠে এসেছে। মঙ্গলবার বিএসএমএমইউতে উইলসন্স রোগীদের জেনেটিক পরিবর্তন ও এর স্নায়ু উপসর্গ নিয়ে গবেষণার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

এ সময় জানানো হয়, উইলসন ডিজিজ লক্ষণগুলো সাধারণত মসি্তষ্ক এবং লিভারের সঙ্গে সম্পর্কিত। লিভার সম্পর্কিত উপসর্গের মধ্যে রয়েছে বমি, দুর্বলতা, পেটে তরল জমা হওয়া, পা ফুলে যাওয়া, ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া এবং চুলকানি। মসি্তষ্ক সম্পর্কিত লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে কম্পন, পেশি শক্ত হওয়া, কথা বলতে সমস্যা, ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন, উদ্বেগ এবং মনোবিকার ইত্যাদি। গবেষণা ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, বেসিক সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ&।

নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান গবেষক হিসাবে ফলাফল উপস্থাপন করেন এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু ও নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব হেলাল। অধ্যাপক ডা. বলেন, বাংলাদেশের প্রতি ৩০ হাজার জনে একজন উইলসন ডিজিস রয়েছে। সেই হিসাবে রোগীর সংখ্যা হবে ৬ হাজারের মতো। 

অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব হেলাল বলেন, বাবা-মা দুজনেরই যদি এই রোগের জিন থাকে, তাহলে সন্তানও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এজন্য আমরা নিকটাত্মীয়দের মধ্যে বিবাহ না করার পরামর্শ দিয়ে থাকি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, এই রোগের চিকিত্সা টার্গেট জিন থেরাপির মাধ্যমে বিএসএমএমইউতে হচ্ছে। রোগটি এড়াতে রক্তের সম্পর্কের নিকটাত্মীয়দের মধ্যে বিয়ে না করাই উত্তম। এজন্য খালাতো, মামাতো এবং ফুফাতো বোনের সঙ্গে বিয়ে বন্ধ করতে হবে। তাহলেই এই রোগে আক্রান্ত কমে আসবে।