Ad0111

যশোর শিক্ষা বোর্ডের আরও আড়াই কোটি টাকার হদিস মিলছে না

এ নিয়ে বোর্ডের মোট ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের খবর পাওয়া গেছে

যশোর শিক্ষা বোর্ডের আরও আড়াই কোটি টাকার হদিস মিলছে না
ফাইল ফটো

প্রথম নিউজ, যশোর: যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে চেক জালিয়াতি করে আরও আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বোর্ডের মোট ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের খবর পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার যশোর শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিষয়টি ধরা পড়লে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আরও একটি লিখিত অভিযোগ দেয় বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট বিজনেস আইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে আয়কর বাবদ ১২ হাজার ২৭৬ টাকা তুলে নেওয়া হয়। একই সালের ৪ অক্টোবর শহরের জামে মসজিদ লেনের নূর এন্টারপ্রাইজ নামে ৫৯ হাজার ৩৫ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল মেসার্স খাজা প্রিন্টিং প্রেসের নামে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৩০ টাকা ও নিহার প্রিন্টিং প্রেসের নামে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৩০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এভাবে ৯টি প্রতিষ্ঠানের নামে আরও ২ কোটি ৪৩ লাখ ৭ হাজার ৮৭৮ টাকা তুলে নেন হিসাব সহকারী আবদুস সালাম।

একই সঙ্গে সেকশন অফিসার আবুল কালাম আজাদের নামে ৯৪ হাজার ৩১৬ টাকা ও আবদুস সালামের নিজ নামে ২৫ লাখ ৮০ হাজার ১০ টাকা তুলে নেওয়া হয়।

এসব বিষয়ে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের হিসাব ও নিরীক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক এমদাদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, আমরা আরও প্রায় আড়াই কোটি টাকার চেক জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছি। এ জন্য দুদকে ২১ অক্টোবর আরও একটি অভিযোগ জমা দিয়েছি। বর্তমান চেয়ারম্যান মোল্লা আমীর হোসেন বোর্ডের সচিব থাকা অবস্থায় এ জালিয়াতি করা হয়। বোর্ডের আবদুস সালাম তখন হিসাব শাখার দায়িত্বে ছিলেন। তার নেতৃত্বে ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক যশোরের শরিফুল ইসলাম বাবু এসব জালিয়াতি করেছন বলে আমরা জেনেছি। এখন দুদক বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

শিক্ষা বোর্ডের কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমান বোর্ড চেয়ারম্যান আগে যখন সচিব ছিলেন তখন থেকে এই জালিয়াতি শুরু হয়।

অভিযোগের বিষয়ে দুদক যশোর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, আমাদের কাছে আরও প্রায় আড়াই কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ করা হয়েছে। জালিয়াতির সঙ্গে কারা জড়িত আছে তা খুঁজে বের করা হবে।

এর আগে ১৮ অক্টোবর আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

অভিযুক্তরা হলেন- যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এএম এইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম, প্রতারক প্রতিষ্ঠান ভেনাস প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু, ও শেখহাটী জামরুলতলার শাহীলাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলম।
মামলা হবার পর ওইদিন রাতেই চেয়ারম্যান ও সচিব তাদের বাংলো থেকে বের হয়ে যান। এরপর তারা কেউ অফিসে আসেনি।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news