যশোরে বিএনপি নেতাসহ ৩ জনের বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ-গুলি

আজ শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে পৌরশহরের ধর্মতলা, শংকরপুর বটতলা ও খড়কি এলাকায় পৃথক এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

যশোরে বিএনপি নেতাসহ ৩ জনের বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ-গুলি

প্রথম নিউজ, যশোর: যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ তিন নেতার বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি বর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে পৌরশহরের ধর্মতলা, শংকরপুর বটতলা ও খড়কি এলাকায় পৃথক এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার পর পৌরশহরের ধর্মতলা বাজার এলাকায় যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের বাড়ির সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এর কিছু সময় পর শংকরপুর বটতলা মসজিদের কাছে যশোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী জুলুর বাড়ির সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।

এছাড়া খড়কিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার রানার বাড়ির পেছন থেকে ৪-৫ রাউন্ড গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগসহ নানা দাবিতে যশোরে বিএনপি নেতাকর্মীরা সরব। পুলিশের বাধা ও ক্ষমতাসীনদের ভয়ভীতির পরও আন্দোলন করছেন নেতাকর্মীরা। এ কারণে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি চালানো হচ্ছে।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের ধর্মতলা এলাকায় বাসায় টেলিভিশন দেখছিলাম। এমন সময় বাসার সামনে পর পর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ হয়। বাসার সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। বের হয়ে দেখি মানুষজন দৌড়াদৌড়ি করছে। বাসার সামনে ধোঁয়া উড়ছে। পরে আশপাশের বাসিন্দারা জানান, কয়েকটি মোটরসাইকেলে হেলমেট পরে দুর্বৃত্তরা আমার বাড়ির উদ্দেশ্য ককটেল নিক্ষেপ করে চলে গেছে। আনুমানিক তিনটি মোটরসাইকেলে ছয়জন তরুণ এসে সেখানে ককটেল নিক্ষেপ করে। কয়েকজনের মাথায় হেলমেট পরা ও কিছু লোকের মুখে কাপড় বাধা ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে আলামত সংগ্রহ করেছে।

বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, অতীতেও জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বাসভবনে একাধিকবার এ ধরনের বোমা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের আশঙ্কা চলমান এক দফার আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে পরিচালনা করতে, এটা সরকারের নীল নকশার অংশ বিশেষ। এ বিষয়ে আমরা জেলা পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে তারা শহরে টহল টিম বের করেছে বলে আমাদের জানিয়েছে।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ কে এম শফিকুল আলম বলেন, পুলিশের মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে। ককটেলের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।