মায়েদের হাড়ের যত্ন

পুরুষ এবং নারীর শরীরের গঠন হুবহু এক নয়। রয়েছে বেশকিছু পার্থক্য

মায়েদের হাড়ের যত্ন

প্রথম নিউজ, ডেস্ক :  পুরুষ এবং নারীর শরীরের গঠন হুবহু এক নয়। রয়েছে বেশকিছু পার্থক্য। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো একজন নারীর মা হয়ে ওঠা। গর্ভধারণ থেকে শুরু করে সন্তান জন্ম দেওয়া এবং এরপর বুকের দুধ খাইয়ে তাকে বড় করার বিষয়টি পুরোটাই নারীর। তাই একজন নারী কিংবা মায়ের সবচেয়ে বেশি যত্নশীল হওয়া উচিত নিজের প্রতি।

আমাদের দেশের বেশিরভাগ নারী হাড়ের সমস্যায় ভুগে থাকেন। বিশেষ করে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর কিংবা বয়স ত্রিশ পার হলেই প্রকাশ পেতে থাকে তাদের হাড়ের জীর্ণতার লক্ষণ। বেশিরভাগ নারী বাড়িতে এবং বাড়ির বাইরে নানা ধরনের কাজ করে থাকেন, সেইসঙ্গে থাকেন নিজের যত্নের প্রতি উদাসীন। পরীক্ষা করালে আমাদের দেশের অধিকাংশ নারীর শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর মারাত্মক ঘাটতি পাওয়া যাবে।


হাড়ের সুস্থতার জন্য নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে নিজেকেই। নারীকে ঘরে এবং বাইরে অনেক দিক সামলাতে হয়। তাই হাড় সুস্থ রাখার বিকল্প নেই। একটু সচেতন হলেই হাড় ভালো রাখা সহজ হবে। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, শরীরচর্চা ইত্যাদি কাজ আপনার হাড় ভালো রাখতে কাজ করবে। আমাদের মায়েদের হাড়ের সুস্থতার জন্য করতে হবে কিছু কাজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীর বয়স ত্রিশ পার হলে হাড়ের স্বাস্থ্য নাজুক হতে শুরু করে। তাই এসময় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে নিয়মিত। পাশাপাশি সকালের রোদ গায়ে লাগানোর অভ্যাস করতে হবে। এতে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দূর হবে। ফলে হাড় সুস্থ থাকবে। ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে বড় উৎস হলো সূর্যের আলো। এছাড়া কিছু খাবারে ভিটামিন ডি আছে, সেগুলোও খেতে হবে। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় রয়েছে দুধ, পনির, দই, ব্রকলি, বাদাম ইত্যাদি। এসব খাবারও নিয়মিত খেতে হবে।

কারকিউমিন সমৃদ্ধ ফাংশনাল ফুড

কারকিউমিনযুক্ত খাবার খেলে হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কারণ কারকিউমিনের আছে প্রদাহবিরোধী, অ্যান্টিটিউমার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। গবেষণায় প্রমাণিত, কারকিউমিন সমৃদ্ধ ফাংশনাল ফুড হাড়ের সমস্যা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। অর্গানিক নিউট্রিশন লিমিটেডের কারকুমা ব্র্যান্ডের কিছু ফ্যাংশনাল ফুড বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সেসব ফুডও কার্যকরী।

ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা

অনেক নারী ক্যালসিয়াম ডেফিসিয়েন্সি এবং অ্যানিমিয়ায় ভুগে থাকেন। এসব ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যেসব রোগের ভ্যাকসিন পাওয়া যায় সেগুলো আপনি নিতে পারবেন কি না সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। নিজে থেকে কখনো কোনো ওষুধ গ্রহণ করবেন না। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

স্বাস্থ্যকর খাবার

সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প নেই। এটি প্রযোজ্য হাড়ের সুস্থতার ক্ষেত্রেও। তাই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে খাবারের তালিকা তৈরি করে নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। পাশাপাশি প্রতিদিন শরীরচর্চা করুন। যেসব মায়ের বয়স একটু বেশির দিকে তারা নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

প্রাকৃতিক উপায়

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নারীর শরীরে অনেক পরিবর্তন আসে। যেমন বয়স ত্রিশ বছর পার হলে তাদের শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন শুরু হয় যার ফলে হরমোনাল ফাংশন ঠিকভাবে হয় না। যে কারণে অনেক রোগ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এজন্য নিয়মিত তুলসি ও অশ্বগন্ধার মতো প্রাকৃতিক উপাদান খাওয়া শুরু করতে পারেন। এতে হরমোনের ক্ষরণ ঠিকভাবে হতে শুরু করবে।