মোবাইল কেড়ে নেওয়ায় বাবা-মা-বোনকে হত্যা
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : মোবাইল কেড়ে নেওয়ায় বাবা, মা এবং বোনকে হত্যা করেছে এক কিশোর। এই ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরের কাছ থেকে তার মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এই ক্ষোভে সে তার পরিবারের তিন সদস্যকে হত্যা করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশটির সাও পাওলো রাজ্যে স্থানীয় সময় শুক্রবার ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এই খবর সামনে এসেছে গত সোমবার। স্থানীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই কিশোর নিজেই পুলিশকে ডেকে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছে।
তদন্ত সংস্থার প্রধান রবার্টো আফোনসো বলেন, ওই কিশোরকে দত্তক নেওয়া হয়েছিল। পালক বাবা-মায়ের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি এবং ঝগড়ার পর তার মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। এতে সে খুব ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
ওই তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সে জানিয়েছে যে, তার বাবা পৌরসভার একজন পুলিশ সদস্য। বাবার ব্যবহৃত বন্দুক দিয়েই তাকে পেছন থেকে গুলি করে সে।
বাবাকে হত্যার পর বাড়ির অন্যরুমে থাকে তার ১৬ বছর বয়সী বোনের মুখে গুলি চালায় সে। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই তার মা বাড়ি ফিরে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই একই অস্ত্র দিয়েই কিশোরটি তার মাকেও গুলি চালায়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে যে, ওই কিশোরের বাবার বয়স ৫৭ বছর এবং মায়ের বয়স ৫০ বছর। রবার্টো আফোনসো বলেন, আমাদের বুঝতে হবে যে, এটা কোনো ধরনের মানসিক অস্থিরতার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল কি না।
এই ঘটনায় আরও কেউ সম্পৃক্ত ছিল কি না সে বিষয়টিও তদন্ত করছে পুলিশ।
সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, পরিবারের তিন সদস্যকে শুক্রবার হত্যার পর সোমবার পর্যন্ত ওই বাড়িতে স্বাভাবিক ভাবেই দিন কাটিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সে জিমে গেছে এবং বেকারি থেকে খাবার কিনেও খেয়েছে। শনিবারও পর্যন্তও তার মধ্যে এতটা ক্ষোভ ছিল যে সে তার মায়ের মরদেহ ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে। এসব ঘটনার পর সোমবার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
বর্তমানে তাকে একটি কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। পরিবারের তিন সদস্যকে হত্যার বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় তাকে বেশ শান্ত থাকতে দেখা গেছে। ব্রাজিলের বিশেষ আইনের কারণে অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামীরা সুরক্ষিত থাকে এবং তাদের অপরাধের সাজা প্রাপ্তবয়স্কদের মতো হয় না।