মানিলন্ডারিং মামলায় জি কে শামীমের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ
প্রথম নিউজ, ঢাকা : মানিলন্ডারিং আইনে যুবলীগের কথিত নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় জি কে শামীমসহ চার আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে জি কে শামীমের পক্ষে যুক্তিতর্ক করেন তার আইনজীবীরা। পরে বাকি আসামিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ১৫ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে গত ৬ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ জি কে শামীমসহ আটজনের সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছরের কারাদণ্ডের প্রত্যাশা করে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মাহমুদুল হাসান বলেন, জি কে শামীমসহ আটজনের সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছরের কারাদণ্ডের প্রত্যাশা করে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছি। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সাত সশস্ত্র দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমকে তার কার্যালয় থেকে আটক করে র্যাব। নিকেতন এ-ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাড়িতে তার অফিসে র্যাব দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। তার কার্যালয় থেকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।
এরপর জি কে শামীমের বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখা এবং মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।