মঙ্গলবার বিভাগ-জেলায় সমাবেশ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ

রকার পতনের এক দফা দাবিতে সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর পল্টন মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।

মঙ্গলবার বিভাগ-জেলায় সমাবেশ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ

প্রথম নিউজ, ঢাকা: আগামীকাল মঙ্গলবার দেশের প্রতিটি বিভাগ ও জেলায় সাধ্য ও সময় অনুযায়ী সমাবেশ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। এ কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর নতুন করে আবারো কর্মসূচি দেওয়া হবে। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর পল্টন মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, বাংলাদেশ একটা অন্যরকম এক দফায় প্রবেশ করেছে। এই এক দফায় প্রথম কাজ সরকারের পদত্যাগ এবং দ্বিতীয় কাজ মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা। কারণ ভোটাধিকার হচ্ছে গণতন্ত্রের ঘরের তালা খোলার চাবি।

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, পুলিশ কর্মকর্তাদের জিজ্ঞেস করতে চাই, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা যারা মানুষকে রক্তাক্ত করেছে তাদের কয়জনকে আপনারা গ্রেপ্তার করেছেন? মামলা দিয়েছেন? অথচ যারা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করেছে তাদের গ্রেপ্তার করে মামলা দিয়েছেন। এই হচ্ছে সরকারের আইন।

আওয়ামী লীগ একটি প্রতিক্রিয়াশীলপন্থি দলে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো রাজনীতি নেই। সরকারি দল বিক্ষোভ মিছিল করেছে জনগণের বিরুদ্ধে। জনগণ তাদের ভোট ডাকাত বলে এ জন্য। আওয়ামী লীগকে অচিরেই বিরোধী শিবিরে নামিয়ে দেবে। তাই আগাম বিক্ষোভ মিছিল দিচ্ছে। তারা একটা প্রতিক্রিয়াশীলপন্থি দলে পরিণত হয়েছে। বিরোধীরা কর্মসূচি দিলে তার বিপরীতে তারা কর্মসূচি দেয়। দেশের মানুষকে দেওয়ার মতো কোনো কর্মসূচি নেই। শেখ হাসিনাকে মানুষ ইতিহাসে ভোট ডাকাত হিসেবে মনে রাখবে। 

সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো রাজনীতি নাই তাই তারা এখন বিরোধী দলের লেজুড়বৃত্তি করছে। আওয়ামী লীগের বিরোধী দলের সামনে হাঁটার কোনো জোর নাই। তারা এখন বিরোধী দলের পেছনে পেছনে হাঁটছে। বিরোধী দল যখন রাজপথে নেমেছে তখন ওবায়দুল কাদের তার নেতাদের ঘুম হারাম করে দিয়েছেন। ওই নেতাকর্মীদের এখন রাজপথে ডিউটি করতে হচ্ছে। ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে এখন ওভার ডিউটি পর্যন্ত করাচ্ছে। 

তিনি দাবি জানিয়ে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অনতিবিলম্বে আপনাকে পদত্যাগ করতে হবে; অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তৈরি করতে হবে; অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন তৈরি করতে হবে; অবৈধ ভোট ডাকাতের পার্লামেন্ট বাতিল করতে হবে। সমাবেশ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা আবু ইউছুফ সেলিমের মুক্তি দাবি করেন নেতারা। 

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল -জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন আহমেদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার প্রমুখ।