মাইন বিস্ফোরণে উড়ে গেল পা, তরুণের মৃত্যু
রোববার দুপুরে মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
প্রথম নিউজ, কক্সবাজার : মিয়ানমারের নাফ নদীর লাল দ্বীপে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা তরুণ নিহত হয়েছেন। বিস্ফোরণে তার ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে উড়ে গেছে। নিহতের নাম জোবায়ের (১৯)। তিনি হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকার আব্দুল হালিমের ছেলে।
আহতরা হলেন- আবুল কালামের ছেলে শাহ আলম (২৮) ও প্রকাশ মিস্তির ছেলে শুক্কুর (২১)। তারাও একই এলাকার বাসিন্দা। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে উন্নয়ন চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার দুপুরে মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নৌ-পুলিশের টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ পরিদর্শক তপন কুমার বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহত রোহিঙ্গা যুবকদের বরাতে তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, রোববার দুপুর ১২টার দিকে রোহিঙ্গা যুবক শাহ আলম, মো. জোবায়ের ও মো. শুক্কুর মিলে নাফ নদীতে কাঁকড়া শিকারে যান। একপর্যায়ে তারা নাফ নদীর শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের লাল দ্বীপে গিয়ে কাঁকড়া শিকার করতে থাকেন। কাঁকড়া ধরার একপর্যায়ে কাঁদামাটিতে পুঁতে রাখা একটি মাইন বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তারা তিনজনই আহত হন। এ সময় তারা পানিতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমার অভ্যন্তরে পৌঁছান।
নৌ-পুলিশের পরিদর্শক বলেন, আহতদের মধ্যে শাহ আলম ও মো. শুক্কুর বাড়ি ফিরে এলেও গুরুতর আহত মো. জোবায়ের নদীর তীরেই রয়ে যান। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা জোবায়েরকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন। সেখান থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আহত দুজনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান। বিস্ফোরণে মো. জোবায়েরের ডান পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে গোড়ালি পর্যন্ত সম্পূর্ণ উড়ে গেছে।
নিহতের লাশ বাড়িতে রয়েছে বলে জানিয়ে নৌ-পুলিশের এই পরিদর্শক বলেন, এ বিষয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বলেন, আহত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।