‘ভাত খাবে কম, মাছ খাবে বেশি’

‘ভাত খাবে কম, মাছ খাবে বেশি’

প্রথম নিউজ, অনলাইন:   কালিগঞ্জের আজমতপুরের ভাই ভাই মাছের হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে প্রতিদিনই পাওয়া যায় চিংড়ি, মলা, পুটি, শিং, টেংরাসহ ২৪ পদের দেশি মাছ। আশেপাশের খালবিল এবং নদীনালা থেকে ধরে আনা মাছ ক্রেতার সামনে মাটির চুলায় তেলে ভেজে পরিবেশন করা হয় এখানে।  

গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী এই মাছের হোটেলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া গেলেও মূলত ছোট মাছের জন্যই এটি জনপ্রিয়। প্রতিদিন সকালে আশেপাশের হাট থেকে মাছগুলো সংগ্রহ করে সাজিয়ে রাখা হয়।
ক্রেতারা পছন্দ করে দিলে শুরু হয় রান্নার প্রক্রিয়া। সরাসরি রান্নার এই প্রক্রিয়া বিদেশে বেশ জনপ্রিয়। দর্শনার্থীরাও এটি উপভোগ করেন। সেই ধারণা থেকেই গাজীপুরের এই ভাই ভাই হোটেলের যাত্রা।
 

প্রকৃত স্বাদ বজায় রাখতে এখানে রান্নায় অতিরিক্ত মসলা ব্যবহার করা হয় না। মাটির চুলায় মাছের সঙ্গে কেবল হলুদ, মরিচ আর পেঁয়াজ দিয়ে তেলে ভেজে পরিবেশন করা হয়। তাতেই এই হোটেল এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে লাইনে দাঁড়িয়ে খেতে হয় এই খাবার। এক দর্শনার্থী জানান, দেশি মাছের স্বাদটা এই হোটেলেই পাওয়া যায়।
এদের কথাই হল মাছ বেশি খান ভাত কম খান। এখানে বিভিন্ন প্রকারের মাছ রান্না করা হয় যা বাসায় করা সম্ভব হয়ে উঠে না।  

সাধারণত বড় মাছের তুলনায় ছোট মাছ পরিষ্কার করা কষ্টসাধ্য হলেও স্বাদে ও পুষ্টিতে এই মাছ অনন্য। এসব বিবেচনায় নিয়েই এই হোটেলের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এর খ্যাতি রয়েছে দেশব্যাপী।
এই মাছের স্বাদ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসেন এখানে।

হোটেলের এক রাঁধুনি বলেন, প্রতিদিন বিল থেকে তরতাজা মাছ এনে ক্রেতা বসার পরে তা নতুন তেল দিয়ে ভাজা হয়। এজন্য এত সুস্বাদু হওয়ায় এতো মানুষ এখানে আসে শুধু দেশি মাছ খাওয়ার জন্য। একসময় বিদেশ থেকেও দর্শনার্থীরা এখানে এসে খাবার উপভোগ করবেন বলে প্রত্যাশা এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।