বিশ্ব-সমাজ-জাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে শিক্ষাই শ্রেষ্ঠ আশা: দীপু মনি
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্যারিসে ইউনেসকোর সদরদপ্তরে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রথম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব, সমাজ ও জাতিতে জাতিতে যে দ্বন্দ্ব, তা নিরসনে শিক্ষাই শ্রেষ্ঠ আশা বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, সমাজে সচেতনতাসহ সমালোচনামূলক মন আছে- এমন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সহায়তা করতে হবে। তাদের রূপান্তরমূলক ভূমিকা টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাজের ভিত্তি গড়ে তুলবে বলে। আর সাক্ষরতা এসব কিছুর পূর্বশর্ত হিসেবে কাজ করে। কারণ এটি শিক্ষার প্রবেশদ্বার।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্যারিসে ইউনেসকোর সদরদপ্তরে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী ট্রান্সফর্মিং এডুকেশনের উচ্চপর্যায়ের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দেন। এছাড়া এ সম্মেলনে ইউনেসকোর শিক্ষাবিষয়ক এডিজি স্টেফিন গিয়ানিনি, সেনেগাল, বেনিন ও ইকুয়েডরের শিক্ষামন্ত্রী অংশ নেন। ডা. দীপু মনি বলেন, বিদ্যমান শিক্ষার ক্ষেত্রগুলোকে সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরিত করতে হবে, যাতে আজীবন সাক্ষরতা অর্জন করতে কেউ পিছিয়ে না থাকে।
শিক্ষামন্ত্রী সম্মেলনে সাক্ষরতা প্রসারে বাংলাদেশে গৃহীত উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা জীবনব্যাপী শেখার জন্য পলিসিতে মৌলিক সাক্ষরতার ওপর গুরুত্বারোপ করছি। এটি সাক্ষরতাকে মৌলিক দক্ষতা বিকাশ ও জীবনব্যাপী শেখার সুযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে করা হবে।
তিনি বলেন, জনগণের জন্য সুন্দর আগামীকে সুরক্ষিত করতে ও ক্রান্তিকালীন এবং রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। আমাদের অবশ্যই প্রান্তিক মানুষদের অগ্রসর হতে সাহায্য করতে হবে। কোনো ধরনের কুসংস্কার বা মানসিক-সামাজিক ট্রমা ছাড়াই এবং শিক্ষাকে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সামাজিক চুক্তি গড়ে তুলতে হবে।
এদিকে, শিক্ষামন্ত্রী ইউনেসকো আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩-এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানেও অংশ নেন। বন্ধুত্ব নামে একটি বাংলাদেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কনফুসিয়াস পুরস্কার পেয়েছে। সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর মধ্যে সাক্ষরতা প্রচারে তাদের কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটি এ পুরস্কারে মনোনীত হয়।