ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা আজ থেকে আবারও কর্মবিরতিতে
বুধবার থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের সব এজলাসে বিচারকাজে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন আইনজীবীরা।
প্রথম নিউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: দাবি আদায় না হওয়ায় আবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবকটি আদালত বর্জন কর্মসূচি দিয়েছেন আইনজীবীরা। এর আগে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দুটি আদালত বর্জন করে আসছিলেন। বুধবার থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের সব এজলাসে বিচারকাজে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন আইনজীবীরা। দুই বিচারক জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক এবং জেলা জজ আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে আন্দোলন করে আসছেন আইনজীবীরা।
আদালতের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতের বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয় গত শীতকালীন ছুটির আগের দিন থেকে। গত ১ ডিসেম্বর শীতকালীন ছুটির আগে আদালতের শেষ কার্যদিবস নির্ধারিত সময়ের পর মামলা নিয়ে যাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা গ্রহণ করতে অনীহা প্রকাশ করে। পরে সংশ্লিষ্ট মামলার আইনজীবীরা বিষয়টি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিচারককে জানান। সভাপতি বিচারককে মামলা নেওয়ার অনুরোধ করলেও গ্রহণ করেননি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এর আদালত বর্জন ঘোষণা দেয় আইনজীবী সমিতি। পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতও বর্জন করে। একপর্যায়ে এ দুটি আদালতসহ সবকটি আদালত বর্জন করে আইনজীবী সমিতি।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানবীর ভূঁইয়া জানান, ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের কর্মসূচি চলবে। তবে এর আগে আইনজীবীদের দাবি পূরণ হলে আমরা আদালতে ফিরে যাব। এই তারিখের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে পরবর্তী সময় আবার বসে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।