বাতি আছে আলো নেই, দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা
প্রথম নিউজ, ঝালকাঠি: বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও জনগণের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে সৌর সোলার বাতি। তবে এসব বাতি বসানোর কিছুদিন পরই বন্ধ হয়ে যায়। দেখভাল ও মেরামতের অভাবে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সুফল।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নলছিটি উপজেলার ফেরিঘাট, বিজয় উল্লাস চত্বর, নলছিটি-দপদপিয়া সড়কের বিভিন্নস্থানের বাতি আলো দিচ্ছে না। রাত হলেই ঘুটঘুটে অন্ধকার নেমে আসে এসব সড়কে। এতে করে বিপাকে পরেন এই এলাকায় চলাচল করা পথচারী ও যানবাহন চালকরা। বাতি থেকেও অন্ধকারে চলতে হচ্ছে এমনটা অনেক বাসিন্দাই মেনে নিতে পারছেন না। অভিযোগ রয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এগুলো স্থাপন করায় দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সড়ক অন্ধকার থাকায় প্রায় সময়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। একই সঙ্গে ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়।
ভ্যানচালক কামাল হোসেন বলেন, নলছিটি বিজয় উল্লাস চত্বরের দুই প্রান্তে দুটি বাতি কয়েকমাস ঠিক ছিল। পরে একে একে দুটোই এখন অকেজো হয়ে আছে। এই জায়গাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ অনেক রাত পর্যন্ত এখানে লোকজনের আনাগোনা থাকে। তাই তাদের নিরাপত্তার জন্য এই বাতি দুটি সচল করা দরকার। নিজেরাও ভয়ে থাকি কখন নিজের উপার্জনের সম্বল ভ্যানটি অন্ধকারের চুরি হয়ে যায়। তাই রাতে ভ্যান রেখে কোথাও যাই না।
নলছিটি দপদপিয়া সড়কের মল্লিকপুর বাজারের ব্যবসায়ী আ. জব্বার বলেন, সোলার বাতিগুলো সচল থাকলে সড়ক ও আশপাশে আলোকিত থাকে। ফলে সাধারণ মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারেন। কিন্তু অনেক সোলার বাতি এখন অকেজো হয়ে আছে। এতে করে এইসব এলাকায় রাতে বেলা মাদকসেবী ও দুষ্ট লোকের আনাগোনা বেড়েছে। আমরা চাই এগুলো দ্রুত মেরামত করে সচল করে দেওয়া হোক।
এ ব্যাপারে নলছিটি পৌর মেয়র আ. ওয়াহেদ খান বলেন, নষ্ট সোলার বাতি সর্ম্পকে আমি জেনেছি। আমি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। নলছিটি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিজন কৃষ্ণ খরাতি বলেন, উপজেলার বিভিন্নস্থানে যে সোলার বাতি বসানো হয়েছে তার মধ্যে কিছু বাতি জ্বলছে না বলে আমরা জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে। তারা বাতিগুলো সচল না করা পর্যন্ত তাদের জামানতের টাকা ফেরত দেওয়া হবে না।