বাজেটে কোনো সংস্কার নেই, আকার কমছে

প্রথম নিউজ, অনলাইন: দেশের অর্থনীতি নানামুখি চাপে। এমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়েও ছোট করে এনেছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা চলতি বাজেটের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কম। মূলত সার্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এবারের ছোট বাজেট দিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
তবে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সংস্কার কমিটিগুলোর কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনা থাকবে আগামী অর্থবছরের বাজেটে। সূত্র বলছে, জুলাই অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এটিই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট। আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র বাজেট হবে এটি। বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অনিশ্চয়তার মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বেসরকারি বিনিয়োগ জোরদার করা এবং সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে মজবুত করার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বর্তমান সরকার।
সরকারের তথ্য বিবরণ বলছে, সংসদ না থাকায় ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেট রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হবে। আগামী সোমবার (২রা জুন) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জাতির উদ্দেশ্যে নতুন অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করবেন। ওইদিন বিকাল ৪টায় ধারণকৃত বাজেট বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে প্রচারিত হবে। এর আগে সংসদের বাইরে বাজেট দেয়া হয়েছিল ২০০৮ সালে। তখন ক্ষমতায় ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই বছরের ৯ই জুন তখনকার অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। সেদিনও ছিল সোমবার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না। তবে বাজেট ঘোষণার পর প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর নাগরিকদের নিকট মতামত চাইবে অর্থ মন্ত্রণালয়। মতামতের ভিত্তিতে তা চূড়ান্ত করা হবে। এরপর আগামী ২৩শে জুনের পর যেকোনো একদিন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন নিয়ে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে তা আগামী এক জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে।