বিএনপির ছোড়া বলে গুগলি-আউট কিছুই হবে না: কাদের

শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে বনানীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

 বিএনপির ছোড়া বলে গুগলি-আউট কিছুই হবে না: কাদের

প্রথম নিউজ, ঢাকা : নেতাকর্মীদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ছোড়া বলে, গুগলি কিংবা আউট কিছুই হবে না। শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে বনানীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের রাজনীতিতে বিএনপি হচ্ছে ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া। এই বিষফোঁড়া যতদিন আছে ততদিন হত্যা, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, যত প্রকার অশান্তি, অস্থিরতা, সবকিছু থাকবে। কারণ এসবের মূলহোতা বিএনপি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, এদেশে জাতীয় যত রক্তাক্ত ট্রাজেডি তার মূলে রয়েছে জিয়া পরিবার। পঁচাত্তর তাদেরই সৃষ্টি। এর মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমান। ৩ নভেম্বরের হোতাও তিনি। একুশে আগস্টের মাস্টার মাইন্ড তার ছেলে তারেক রহমান। মূলত এই পরিবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে।

বিএনপি দেশে আবারো সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা নির্বাচন নয়, পেছনের দরজা দিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চোরাগলি পথে ক্ষমতায় যেতে চক্রান্ত শুরু করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল বলছেন- ‘আওয়ামী লীগকে গুগলি মেরে বোল্ড আউট করে ফেলেছে।’ গুগলি তো করেছেন, বলতো নো বল। নো বলে গুগলিও হবে না, বোল্ড আউটও হবে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ শহীদ শেখ কামালের জন্মদিবস। মানুষের জন্মদিবস কতই আনন্দের, কিন্তু আজকের এই দিনে আনন্দের চেয়ে তার রক্তাক্ত বিদায় ট্র্যাজেডির। আমাদের জীবনে আজ শোকের বার্তা বয়ে যাচ্ছে। এসময় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির অপরাজনীতি অচিরেই বন্ধ হওয়া উচিত।

এর আগে সকাল ৮টায় ধানমন্ডির আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠন। এরপর সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সেখানে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আব্দুর রহমান, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

১৯৪৯ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শেখ কামাল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে বিপথগামী একদল সেনা কর্মকর্তার নির্মম বুলেটে মাত্র ২৬ বছর বয়সে শাহাদতবরণ করেন তিনি। শেখ কামাল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন্ড লাভ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীনতার পর সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন শেখ কামাল। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন এবং শাহাদতবরণের সময় বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন জাতীয় ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ছিলেন সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের এমএ শেষ পর্বের পরীক্ষার্থী।