প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানকে পিটিয়ে হত্যায় ‘মূল’ অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
চৌদ্দগ্রাম হোসাইনিয়া মাদরাসা থেকে পলাতক অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রথম নিউজ, কুমিল্লা: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গভীর রাতে প্রবাসীর স্ত্রী এবং সন্তানকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল শাহেদকে (১৫) গ্রেপ্তার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ।
বুধবার (৫ জুলাই) বিকেলে অভিযান চালিয়ে চৌদ্দগ্রাম হোসাইনিয়া মাদরাসা থেকে পলাতক অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল্লাহ আল শাহেদ চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচড়া গ্রামের মীর হোসেনের ছেলে। বুধবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খন্দকার আশফাকুজ্জামান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের ঘরে গোপনে প্রবেশ করে লুকিয়ে থাকে ঘাতক শাহেদ। আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী নিপা আক্তার (২৭) তার সন্তান মোজাহিদকে (৮) নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে রাত আড়াইটার দিকে শাহেদ এবং তার সঙ্গীরা গাছের লাকড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই নিপা আক্তার মারা যান। শিশু মুজাহিদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে ঘাতকরা পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় শিশু মুজাহিদকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যায় শিশু মুজাহিদ।
এ ঘটনার পর জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মাঠে নামে পুলিশের একাধিক টিম। ঘটনার তথ্য অনুসন্ধান এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মূল ঘাতক শাহেদকে চিহ্নিত করা হয়। পরে বিরতিহীন অভিযানে চৌদ্দগ্রাম সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে চৌদ্দগ্রাম হোসাইনিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় হত্যার কাজে ব্যবহৃত গাছের লাকড়ি উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘটনার পর নিহত নিপার বাবা জালাল উদ্দীন বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তার মূল ঘাতক শাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) তাকে আদালতে তোলা হবে। ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।