পরিত্যক্ত হ্যাচারিতে মিললো গুলিবিদ্ধ মরদেহ

নিহত বশির আহমেদ (৪৫) কুমিল্লার বরুডা থানার বাসিন্দা আবু তাহেরের ছেলে। তবে তিনি কক্সবাজার শহরে কলাতলীতে দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বাস করে আসছিলেন।

পরিত্যক্ত হ্যাচারিতে মিললো গুলিবিদ্ধ মরদেহ

প্রথম নিউজ,  কক্সবাজার: কক্সবাজার শহরের কলাতলীর একটি পরিত্যক্ত হ্যাচারি থেকে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দিনগত রাত ১টার দিকে দক্ষিণ কলাতলী মেম্বারঘাটা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত বশির আহমেদ (৪৫) কুমিল্লার বরুডা থানার বাসিন্দা আবু তাহেরের ছেলে। তবে তিনি কক্সবাজার শহরে কলাতলীতে দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বাস করে আসছিলেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত ১২টার দিকে গুলির শব্দ পেয়ে পরিত্যক্ত হ্যাচারিতে যান স্থানীয়রা। সেখানে গুলিবিদ্ধ মরদেহ দেখতে পেয়ে তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে কপালে গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধারের পর পরিচয় শনাক্ত হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বশির দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারে জড়িত ছিলেন। ওই পরিত্যক্ত হ্যাচারি ছিল মাদকাসক্তদের আড্ডাখানা। সেখানে প্রতিরাতে মাদকের আসর বসতো। ধারণা করা হচ্ছে, মাদক সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

তবে নিহতের স্ত্রী রাশেদা বেগমের দাবি, বশির একজন জেলে। মাদক বা অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে কখনো তিনি জড়িত ছিলেন না। ঘটনার আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি থেকে খাবার খেয়ে বের হন তিনি। পরে মধ্যরাতে এলাকাবাসীর মাধ্যমে তার স্বামী নিহত হওয়ার খবর পান। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননি তিনি।

স্থানীয় কাউন্সিলর এম এ মনজুর বলেন, বশির একজনের জমিতে বাস করতো। ওই জমি ছিল ঝামেলাহীন। সাগর থেকে পোনা আহরণ করে জীবিকানির্বাহ করা বশিরের কারও সঙ্গে দ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। যেখানে তার মরদেহ পাওয়া গেছে সেটা মাদকের আড্ডাখানা হিসেবে পরিচিত। তাই তার মৃত্যুটি রহস্যঘেরা।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হুদা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের কপালে একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে কি না তা ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে। পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির একটি টিম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।