পঞ্চগড়ের সীমান্তে গুলিবিদ্ধ চোরাকারবারির মৃত্যু
নিহত সুজন তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের হেঙ্গাডোবা গ্রামের আনারুল হকের ছেলে।
প্রথম নিউজ, পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে গুলিবিদ্ধ সুজন (২৩) নামের এক চোরাকারবারির মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাতে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত সুজন তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের হেঙ্গাডোবা গ্রামের আনারুল হকের ছেলে।
পুলিশি ঝামেলা এড়াতে মঙ্গলবার রাতেই তাকে গোপনে দাফন করার চেষ্টা করা হয়। তবে খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে বুধবার (৫ জুলাই) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও বিজিবি সূত্র জানায়, সোমবার রাতে সুজনসহ একদল চোরাকারবারি গরু আনতে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির আওতাধীন তেঁতুলিয়া সীমান্তের বিপরীতে ভারতের সুকানী সীমান্ত এলাকায় যায়। তখন বিএসএফের সুকানী ক্যাম্পের টহলদলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ সময় সুজন গুলিবিদ্ধ হলে তার সঙ্গীরা তাকে বাংলাদেশি এলাকায় নিয়ে আসেন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পুলিশি ঝামেলা এড়াতে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। মঙ্গলবার রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান হাকিম বলেন, সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কিভাবে আর কার গুলিতে মারা গেছেন তা নিশ্চিত হতে বিজিবি খোঁজ খবর নিচ্ছে।
পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা বলেন, বিএসএফের গুলিতে সুজন নামে এক চোরাকারবারির মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল করেছে। সুরতহালে তার উরু ও অণ্ডকোষে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। বুধবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।