পাকিস্তানে আটক খাদিজা শাহের বিষয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বুধবার বলেছে, তাদের কূটনীতিকরা বিলাসবহুল ফ্যাশন ব্র্যান্ড ইলানের প্রতিষ্ঠাতা খাদিজা শাহের অ্যাক্সেস (দেখা ও কথা বলার অনুমতি) পাননি।

পাকিস্তানে আটক খাদিজা শাহের বিষয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: পাকিস্তানে আটক দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের সমর্থক খাদিজা শাহকে কনস্যুলার অ্যাক্সেস দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন। বিশিষ্ট এ ফ্যাশন ডিজাইনার পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক। গত ৯ মে সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হলে পাকিস্তানজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি, বেসরকারি এমনকি সামরিক স্থাপনাতেও হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সহিংসতার ঘটনায় খাদিজা শাহকে গ্রেফতার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বুধবার বলেছে, তাদের কূটনীতিকরা বিলাসবহুল ফ্যাশন ব্র্যান্ড ইলানের প্রতিষ্ঠাতা খাদিজা শাহের অ্যাক্সেস (দেখা ও কথা বলার অনুমতি) পাননি। গত ৯ মে প্রতিবাদের পর তাকে সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে হাজির করা হয়েছিল।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, খাদিজার দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের কাছে তার কনস্যুলার অ্যাক্সেসের জন্য বলেছি।’

আরও মার্কিন নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে প্যাটেল বলেন, ‘যখনই একজন মার্কিন নাগরিককে বিদেশে গ্রেফতার করা হয়, আমরা সব ধরনের উপযুক্ত সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত থাকি এবং আমরা আশা করি পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ এই বন্দিদের জন্য ন্যায়বিচারের গ্যারান্টিকে সম্মান করবে।’

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই মুখপাত্র ওই সময় পাকিস্তানে সরকার পরিবর্তনে ‘মার্কিন ষড়যন্ত্র’ অভিযোগকেও প্রত্যাখ্যান করেন। পিটিআেইয়ের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকারকে অনাস্থা ভোটের নামে ক্ষমতাচ্যুত করায় ওয়াশিংটনের ভূমিকা আছে বলে অভিযোগ করে আসছেন ইমরান খান।

ওয়াশিংটন পাকিস্তানের সঙ্গে তার সম্পর্ককে মূল্য দেয় উল্লেখ করে বেদান্ত প্যাটেল আরও বলেন, ‘এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা; আপনি আগেও আমাকে এটা বলতে শুনেছেন।’

পাকিস্তানের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি রাজনীতির বিষয়ে পাকিস্তানের জনগণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় এবং তাদের নিজেদের সংবিধান ও আইনের তত্ত্বাবধানে চলতে হবে।’