নির্বাচনের আগেই সংকটে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, ইস্তফা দিলেন ৭৮ জন এমপি

পদত্যাগকারীরা জানিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনে তারা ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি নন।

নির্বাচনের আগেই সংকটে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, ইস্তফা দিলেন ৭৮ জন এমপি

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ৪ জুলাই সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করার পরে এখন বিপাকে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এখনো পর্যন্ত ৭৮ জন সংসদ সদস্য জানিয়ে দিয়েছেন, তারা এ নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তাদের মধ্যে রয়েছেন ক্যাবিনেটের মন্ত্রীরাও। পদত্যাগকারীরা জানিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনে তারা ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি নন। সেই তালিকায় রয়েছেন বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-ও। রয়েছেন মাইকেল গোভ ও অ্যানড্রিয়া লেডসমের মতো প্রথম সারির নেতা-নেত্রীরা। এর আগে সর্বশেষ ১৯৯৭ সালের নির্বাচনে ৭২ জন অংশগ্রহণ না করার কথা জানিয়েছিলেন। বৃটিশ প্রথা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন সেরে ফেলতে হবে। কিন্তু ঋষির কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যেই দাবি উঠছিল, নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া হোক। কারণ গত কয়েকমাসে কনজারভেটিভ পার্টির প্রতি বৃটেনের আমজনতার আস্থা প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। 

একের পর এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বৃটিশ রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল করতে পারে কনজারভেটিভ পার্টি। এহেন পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে হার অবধারিত বলেই মত দলের একটা বড় অংশের। নির্বাচনের ঘোষণার পাশাপাশি সুনাক জানিয়ে দেন তার নেতৃত্বেই আর্থিক সঙ্কট থেকে রক্ষা পাবে বৃটেন। বৃটেনের ভবিষ্যৎ তার হাতেই সুরক্ষিত। কিন্তু কূটনীতিকদের মতে, ভোটে জেতার পুরোদস্তুর সম্ভাবনা রয়েছে লেবার পার্টির। বিরোধী লেবার নেতা কিয়ার স্টারমারও পুরোমাত্রায় প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। পাবলিক ইভেন্টে প্রায়শই তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে কনজারভেটিভরা অর্থনীতির ক্ষতি করেছে এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়েছে। স্থানীয় নির্বাচনে ইতিমধ্যে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি সুনাকের দল। আর তাই হার নিশ্চিত ধরে নিয়েই এ ৭৮ জন এমপি পদত্যাগ করেছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : এনডিটিভি