ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে প্রায় ৩ কোটি গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

বর্তমানে বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে প্রায় ৩ কোটি গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সিদ্ধিরগঞ্জ-উলন গ্রিড ট্রিপ করেছে। বর্তমানে বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এ কারণে কিছুটা সংকট হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুলাহ নোমান। তিনি বলেছেন, আমাদের টিম কাজ করছে। ডিপিডিসি সূত্র  বলছে, মানিকনগর স্টেশন থেকে মাতুয়াইলে বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়ে থাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আস্তে আস্তে ঠিক করা হচ্ছে।

ডিপিডিসি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর আড়াইটায়, উলন-সিদ্ধিরগঞ্জ লাইনে ট্রিপ করে। একই সময়ে সিদ্ধিরগঞ্জ হরিপুর লাইন ট্রিপ করেছে। এরপর থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা হয়েছে। বৃষ্টি এবং তাপমাত্রা কম থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। অন্যান্য সময়ে ২ হাজার মেগাওয়াটের মতো চাহিদা হতো। বিকাল সাড়ে ৫টায় ৮০০ মেগাওয়াট চাহিদা ছিল। যে কারণে আমাদের সরবরাহের কোনো সমস্যা হয়নি।

ঢাকার বাংলামোটর, ধানমণ্ডিসহ অনেক এলাকা থেকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে ডিপিডিসির বক্তব্য হচ্ছে, বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। ঝড়-বৃষ্টির কারণে বিতরণ লাইন এবং ট্রান্সফরমারে অনেক জায়গায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ কারণে সে সব এলাকায় কিছুটা সংকট হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা বলেন, ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে ৩ কোটির উপরে গ্রাহক বিদ্যুৎ বিহীন ছিল। বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে প্রাথমিকভাবে বিদ্যুৎ বিভাগের ক্ষয়ক্ষতি ৭৯ কোটি ২ লাখ টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুসারে ১ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে আরইবির  বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষয়-ক্ষতির চিত্র তুলা ধরা হয়। এতে  প্রায় ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিদ্যুৎ বিহীন গ্রাহক ছিল ২  কোটি ৬৯ লাখ  ৪৭ হাজার ৭০০ জন।