‘নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা কমে গেছে’
দ্য হিন্দুকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন কর্নাটকে নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা কমে গেছে। আগামী বছর ভারতে জাতীয় নির্বাচনে বিজেপির ভোট কমে যাবে। কর্নাটকে কংগ্রেসের বিজয়ই হলো ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সূচক। দ্য হিন্দুকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন কর্নাটকে নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। তিনি আরও বলেছেন, কর্ণাটকে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত শতকরা ৪ ভাগ কোটা তুলে দিয়েছে বিজেপি। তা পুনর্বহালে ব্যবস্থা নেবেন তিনি। গরু জবাই বন্ধের আইন বাতিলের পদক্ষেপও নেবেন।
এতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কর্নাটকে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ভারতের দক্ষিণের সব রাজ্যে বিজেপি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।আমার মতে এটা এক বিশাল বিজয়। কর্নাটকে অনেক র্যালিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অংশ নিয়েছেন। কিন্তু তার উপস্থিতির কারণে বিজেপি সুফল পায়নি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কর্নাটকে মোট ভোটের শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিল বিজেপি।
কিন্তু সামনের বছর নির্বাচনে তাদের ভোট কমে যাবে। তার কাছে প্রশ্ন করা হয়, গত চার বছরে কর্নাটক প্রত্যক্ষ করেছে প্রচুর সাম্প্রদায়িক অসন্তোষ। শ্রেণিকক্ষে হিজাব নিষিদ্ধ করা ছাড়াও বিজেপি সরকার প্রচলন করেছে ‘কর্নাটক প্রিভেনশন অব স্লাউটার অ্যান্ড প্রিজারভেশন অব ক্যাটল অ্যাক্ট, ২০২০’ এবং ‘কর্নাটক প্রোটেকশন অব রাইট টু ফ্রিডম অব রিলিজিয়ন অ্যাক্ট, ২০২২’। এ ছাড়া মুসলিমদের জন্য কোটাও বাতিল করেছে।
আপনার সরকার কি এসব সিদ্ধান্ত পাল্টাবে? জবাবে সিদ্ধারামাইয়া বলেন, বিজেপি সরকার জনবিরোধী যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সবটাই আমরা পাল্টে ফেলবো। আমরা এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছি, গরু জবাই বন্ধের আইন বাতিল করবো। হিজাব ইস্যুটি এখন সুপ্রিম কোর্টে আছে। তবে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার আগে আমাদের আইনজীবী টিমের সঙ্গে পরামর্শ করবো। আমরা ধর্মান্তর বিরোধী আইন বাতিলের বিরোধিতা করেছি।
এই আইন প্রত্যাহারে পদক্ষেপ নেবো। ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস কমিশন বা পিছিয়ে পড়া শ্রেণি বিষয়ক কমিশন কোনো গবেষণা ছাড়াই মুসলিমদের জন্য শতকরা ৪ ভাগ কোটা বাতিল করেছে। আইনগতভাবে এটা মেনে নেয়া যায় না। আমরা এই অর্ডার প্রত্যাহারেও ব্যবস্থা নেবো।