নজরে ‘ভোটসন্ত্রাস’ ও ‘মানবাধিকার’, মার্কিন সাঁড়াশি চাপে বাংলাদেশ

ভারতের জাতীয় দৈনিক ‘সংবাদ প্রতিদিন’এ সুকুমার সরকার এর প্রতিবেদন হুবুহু তুলে ধরা হলো

নজরে ‘ভোটসন্ত্রাস’ ও ‘মানবাধিকার’, মার্কিন সাঁড়াশি চাপে বাংলাদেশ

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ক্রমাগত বরফ জমছে বাংলাদেশ ও আমেরিকার সম্পর্কে। ভোটসন্ত্রাস ও মানবাধিকার প্রসঙ্গে লাগাতার ঢাকার উপর চাপ বাড়াচ্ছে ওয়াশিংটন। বাংলাদেশের জন্য আলাদা ভিসা নীতিও ঘোষণা করেছে আমেরিকা। শুধু তাই নয়, এলিট বাহিনী র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের একাধিক আধিকারিকের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এবার সেই চাপ আরও বাড়িয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা উচিত হবে না বলে মত দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের টম ল্যানটস হিউম্যান রাইটস কমিশন। 

১৫ আগস্ট কমিশনের এক ব্রিফিংয়ে প্যানেল বক্তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, মানবাধিকারকর্মী-সহ বিরোধীদের ওপর দমনপীড়নের অভিযোগ এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন। এসব বিষয়ে তাঁরা বাইডেন প্রশাসন আরও জোরাল ভূমিকা নেবে বলে আশাপ্রকাশ করেন বক্তারা। এদিন ‘হিউম্যান রাইটস ইন বাংলাদেশ: অ্যান আপডেট’ শীর্ষক ভারচুয়াল ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধি পরিষদের এই সংস্থা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের প্রচার, সুরক্ষা ও সমর্থনে কাজ করে। ব্রিফিংয়ের আয়োজক কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্য জেমস পি ম্যাকগভর্ন ও রিপাবলিকান সদস্য ক্রিস্টোফার এইচ স্মিথ। তাঁরা এই কমিশনের কো-চেয়ারম্যান। ব্রিফিংয়ের সঞ্চালনায় ছিলেন লাইব্রেরি অফ কংগ্রেসের বিদেশি আইন বিশেষজ্ঞ তারিক আহমেদ।

অনুষ্ঠানে ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব পিসের সাউথ এশিয়া প্রোগ্রামসের ভিজিটিং এক্সপার্ট জেফ্রি ম্যাকডোনাল্ড। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে যে জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তা হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক বাংলাদেশি এবং আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক দেশটির সর্বশেষ দুটি জাতীয় নির্বাচন (২০১৪ ও ২০১৮ সালের) খুবই ত্রুটিপূর্ণ, হিংসদীর্ণ ও অনিয়মে ভরা ছিল বলে মনে করেন। যে দলই জয়লাভ করুক না কেন, রাজনৈতিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, জনপ্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বাংলাদেশের মানুষের বিশ্বাস পুনরুদ্ধারে সে দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার।”

উল্লেখ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (RAB) সাত আধিকারিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপায় আমেরিকা। এরপর বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হলেও সাড়া মেলেনি। ওয়াশিংটন বরাবরই বলে আসছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া বেশ ‘জটিল’। শুধু তাই নয়, ভোটসন্ত্রাসের অভিযোগে বাংলাদেশের জন্য আলাদা ভিসা নীতিও ঘোষণা করেছে আমেরিকা।