নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ক্রিস হিপকিন্স
জাসিন্দা আরডেনের পর নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ক্রিস হিপকিন্স (৪৪)। ক্ষমতাসীন লেবার দল থেকে দলীয় প্রধানের নেতৃত্বে তিনিই ছিলেন একমাত্র নমিনি। ফলে কোনো প্রতিদ্ব›দ্বী না থাকায় তিনিই হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রথম নিউজ ডেস্ক: জাসিন্দা আরডেনের পর নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ক্রিস হিপকিন্স (৪৪)। ক্ষমতাসীন লেবার দল থেকে দলীয় প্রধানের নেতৃত্বে তিনিই ছিলেন একমাত্র নমিনি। ফলে কোনো প্রতিদ্ব›দ্বী না থাকায় তিনিই হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০০৮ সালে প্রথম পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ২০২০ সালের নভেম্বরে কোভিড-১৯ বিষয়ক মন্ত্রী নিয়োগ করা হয় তাকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
বৃহস্পতিবার আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন নিউজিল্যান্ড ও সারাবিশ্বের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডেন। জানান, আগামী মাসেই তিনি পদত্যাগ করছেন। ফলে নতুন প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের তোড়জোর শুরু হয়ে যায়। সেই কাজটি অবশেষে শেষ হয়েছে। তবে আগামী অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডে নতুন জাতীয় নির্বাচন।
সেই নির্বাচনে লেবার দল কেমন ফল করে তার ওপর নির্ভর করবে ক্রিস হিপকিন্সের ভবিষ্যত। বোঝা যাবে তিনি কতদিন এই পদে থাকতে পারবেন।
হিপকিন্স বর্তমানে পুলিশ, শিক্ষা এবং সরকারি সার্ভিস বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। একমাত্র নমিনি হওয়ার পরও রোববার নি¤œ কক্ষ বা হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে তাকে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন নিতে হবে। তবেই তিনি নেতা হতে পারবেন। পারবেন প্রধানমন্ত্রী হতে। জাসিন্দা আরডেন আগামী ৭ই ফেব্রæয়ারি গভর্নর জেনারেলের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তার পদত্যাগপত্র পেশ করবেন। এরপর রাজা তৃতীয় চার্লসের পক্ষে গভর্নর জেনারেল হিপকিন্সকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করবেন।
অক্টোবরের নির্বাচনের পর যদি তিনি শীর্ষপদে থাকতে চান তাহলে দলের ভিতর প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হতে পারেন। এরই মধ্যে সাম্প্রতিক জনমত জরিপ বলছে, মুদ্রাস্ফীতি এবং ক্রমবর্ধমান সামাজিক অসমতার কারণে জাসিন্দা আরডেনের জনপ্রিয়তা সব সময়ের মধ্যে পতন হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রতি জনগণের অনুমোদনও একই রকম নিম্নে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: