দেশে সেক্যুলারিজমের শেকড় গভীরে পৌঁছে গেছে: ডা. তাহের

শুক্রবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে ছাত্র আন্দোলনের সাবেকদের নিয়ে প্রীতি সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দেশে সেক্যুলারিজমের শেকড় গভীরে পৌঁছে গেছে: ডা. তাহের

প্রথম নিউজ, অনলাইন: দীর্ঘদিনের অপশাসন ও দুঃশাসনে এ দেশে সেক্যুলারিজমের শেকড় অনেক গভীরে পৌঁছে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। শুক্রবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে ছাত্র আন্দোলনের সাবেকদের নিয়ে প্রীতি সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘লাগামহীন দুর্নীতি, ক্ষমতা কুক্ষিগত করার নির্লজ্জ ষড়যন্ত্র ও গণমানুষের অধিকার কেড়ে নেয়ায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেশে একটি সফল বিপ্লব ও ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। তাই এদেশের মানুষ নতুন করে দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও চরিত্রহীন নেতৃত্ব মেনে নেবে না। আর গণপ্রশাসনে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের প্রতিভূরা এখনো বহাল তবিয়তে। একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছে। তাই দেশ, জাতি ও দ্বীনের বৃহত্তর স্বার্থেই রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রেই স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় পাঠ্যসূচি থেকে ইসলামবিরোধী সকল অনুষঙ্গ অবিলম্বে অপসারণ করা দরকার। একই সঙ্গে দায়ীদের বিরুদ্ধে নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ। মূলত ফ্যাসিবাদের শেকড় এদেশ থেকে চিরতরে উপড়ে ফেলতে হবে। এজন্য আমাদেরকে নিজেদের মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য এবং দৃঢ়ভাবে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। সংগঠনের পক্ষ থেকে যখন যে নির্দেশ আসে তা হযরত আবু বকর (রা.)-এর মতো অকুণ্ঠচিত্তে মেনে নিতে হবে।’

ডা. তাহের বলেন, ‘মিরাজের ঘটনা নিয়ে যেভাবে সত্যের সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, আমাদেরকেও একই আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। তাহলেই এদেশে থেকে সকল প্রকার দুর্নীতি, অনাচার, জুলুম-নির্যাতন বন্ধ হবে। অভ্যুদয় ঘটবে নতুন এক বাংলাদেশের। সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য সকলকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের আহ্বান জানাচ্ছি।’

উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় সমাবেশে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুর রব, উত্তরের নায়েবে আমীর প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হেমায়েত হোসাইন, ইয়াছিন আরাফাত, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, জামাল উদ্দীন এবং উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।