দেশ রক্ষায় তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে: ফখরুল
গোটা রাষ্ট্রকে অসুস্থ, বিকৃত রাষ্ট্রে পরিণত করেছে এই সরকার। আজ সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজমান। অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার সচেতনভাবে গণতন্ত্রকে অসুস্থ করেছে। যারা গণতন্ত্রের জন্য কাজ করে তাদের অসুস্থ বানিয়েছে। গোটা রাষ্ট্রকে অসুস্থ, বিকৃত রাষ্ট্রে পরিণত করেছে এই সরকার। আজ সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার সুস্থতা কামনা করে বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, যেসব নেতারা অসুস্থ তাদের অনেকের নামে অসংখ্য মামলা রয়েছে। ৪০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। ভয়াবহ অবস্থা পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ করেছে। সরকারের লক্ষ্য একটাই বিরোধীদল ধ্বংস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়, নির্বাচনকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে অসুস্থ পরিবেশে কারাগারে হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পেলে প্রথমে হাসপাতাল, পরবর্তীতে বাসায় পাঠানো হয়। অথচ বলা হয়- দয়া করা হয়েছে। বিএনপি দয়া নয় খালেদা জিয়ার জন্য ন্যায় বিচার চেয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, তরুণদের দেশকে রক্ষায়, রাষ্ট্রকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। বিএনপি বাধ্য হয়ে আন্দোলন করছে। বিএনপি নির্বাচন চায় তবে আওয়ামী লীগ বারবার নিজেদের মতো নির্বাচন করেছে। এটা আর হতে দেওয়া যায় না। আশা করি সরকারের এখনও শুভবুদ্ধির উদয় হবে, পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আগামী ১২ই জুলাই বুধবার তারুণ্যের সমাবেশ থেকে নতুন যাত্রার আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, স্লো পয়জনিং এর মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ বানিয়ে রাখা হয়েছে। সরকারের সুপরিকল্পিত অশুভ উদ্দেশ্যের অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ বানিয়ে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের মামলাগুলো দ্রুত আদালতে এনে সাজা দেওয়ার চক্রান্ত করছে। কিন্তু সরকারের নীল নকশা দেশের মানুষ ধরে ফেলেছে, এজন্য তরুণ-যুবক-সাধারণ মানুষ মাঠে নেমে এসেছে। ১২ তারিখে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, এরপর আন্দোলনে সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দুঃসময় চলছে। সরকারের নিপিড়ন- নির্যাতন, মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে বিএনপির সিনিয়র নেতারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, সরকার মহাপরিকল্পনা করে বিএনপি'র নেতৃবৃন্দকে নানা কায়দায় নির্যাতন করে অসুস্থ বানিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে।
রিজভী বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা কৌশল করছে সরকার। প্রশাসনে রদবদল করা হচ্ছে। পুলিশ-ডিসিদের বদলি করা হচ্ছে অশুভ উদ্দেশ্যে। সরকারের মাস্টারপ্ল্যান এবার ব্যর্থ করে দেবে দেশের মানুষ। ১২ তারিখে বিএনপির সমাবেশ সফল করা হবে। নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে, ঐতিহাসিক সমাবেশ হবে।