দীর্ঘদিন পর শাকিবের সঙ্গে গোপন বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

দীর্ঘদিন প্রেমের পর ২০০৮ সালের গোপনে বিয়ে করেন দেশীয় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় জুটি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস

দীর্ঘদিন পর শাকিবের সঙ্গে গোপন বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : দীর্ঘদিন প্রেমের পর ২০০৮ সালের গোপনে বিয়ে করেন দেশীয় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় জুটি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। পরে ২০১৬ সালের তাদের ঘর আলোকিত করে আসে সন্তান আব্রাম খান জয়। ক্যারিয়ারের কথা ভেবে শাকিব-অপু দুজনেই সন্তানের জন্মের বিষয়টি গোপন রাখেন।

পরে দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরলে ২০১৮ সালে একে অপরকে ডিভোর্স দেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানে শাকিবের সঙ্গে গোপন বিয়ের বিষয়ে মুখ খুলেছেন অপু বিশ্বাস।

অপু বিশ্বাস বলেন, মা একসময় শাকিবের সঙ্গে কথা বলতে দিত না, ঘুরতে দিত না। বলা যায়, র্যাবের ভূমিকায় থাকত। মানে বন্দুক ছাড়া র্যাব। যখন শাকিবের সঙ্গে দু’তিনটা মুভি শেষ করে ফেললাম, তখনো মা খুব শক্ত ভূমিকায় ছিল। সিনেমার প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত কোনো কথা বলতে দিত না মা। সিনেমা সেটের সময় মা সবসময় সামনে থাকত। শাকিবের সঙ্গে অতিরিক্ত কথা বললেই থাপ্পড় দিত। 

অপু বিশ্বাস আরও বলেন, পরে শাকিবের সঙ্গে আমার মায়ের একদিন হট টক হয়েছিল। সেখানে শাকিবকে মা বলেছিল, তোমাদের দু’জনের পছন্দ হলে বিয়ে কর। তার পর ঘুরো। আমি ভালোবেসে আদর করে কষ্ট করে মেয়ে বড় করেছি। তোমাদের দু’জনের মত থাকলে আমাদের সমস্যা নেই। 

বিয়ে ছাড়া ঘোরাফেরা-কথাবার্তা একেবারেই পছন্দ না আমার। বিয়ে ছাড়া কথাবার্তা, বাবা এটা আমাকে মাফ করে দাও। সেও (শাকিব) মাকে বলেছে, আমি ওকে (অপু বিশ্বাস) রেসপেক্ট করি। আপনার কথা অবশ্যই রাখব। আমি আপনার কথা রাখার চেষ্টা করব। তার পর শাকিব আমাকে বিয়ের কথা বলল। তখন গোপনে বিয়ে করে ফেলি। বিয়ের সময় আমার বোন ও কাজিন ছিল।  

তখন আমি ভেবেছিলাম— মা যেহেতু বলল, বিয়ে করলে শাকিবের সঙ্গে কথা বলতে, ঘুরতে সমস্যা হবে না। আমি মনে করেছিলাম বিয়ে করলে অন্তত ঘোরা যাবে, কথা বলা যাবে, মা আর ঝামেলা করবে না— এই ভেবে বিয়ে করে ফেলি।

দর্শকদের উদ্দেশ্যে অপু বিশ্বাস বলেন, বিয়ে করার আগে অনেক চিন্তা করবেন। আমার মতো কেউ বোকামি করবেন না। বিয়ের পর এত ঝামেলা আমি আগে বুঝিনি। আবেগে বিয়ে করে ফেলি। মূলত শাকিরেব সঙ্গে ফ্রি কথা বলার জন্য বিয়ে করেছিলাম। 

বিয়ের মজার স্মৃতি উল্লেখ করে অপু বিশ্বাস বলেন, কাজী সাহেব যখন বলছিল একটু হলুদ লাগবে। রান্নাঘর থেকে হলুদের পরিবর্তে মরিচের গুঁড়া নিয়ে আসে। অনেক মরিচের গুঁড়া লাল না হয়ে হলুদের মতো রং হয় । পানি দিয়ে গুলে নিয়ে এসে হাতে লাগালে অনেক জ্বালা করছিল। এটা নিয়ে সবাই হাসাহাসি করেছিল।