দুদকের মামলায় স্ত্রীসহ আরডিএ কর্মকর্তা কারাগারে

রোববার সকালে আরডিএ প্রকৌশলী কামরুজ্জামান ও তার স্ত্রী নিশাত তামান্না দুদকের করা মামলায় জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।

দুদকের মামলায় স্ত্রীসহ আরডিএ কর্মকর্তা কারাগারে

প্রথম নিউজ, রাজশাহী: রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামান ও তার স্ত্রী নিশাত তামান্নাকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে হওয়া মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার সকালে মামলার নির্ধারিত দিনে শেখ কামরুজ্জামান ও তার স্ত্রী আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে রাজশাহী মহানগর দায়রা ও সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আশিকুজ্জামান আবেদন খারিজ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের আদেশের পর তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, শেখ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত আরেকটি দুর্নীতি মামলা রাজশাহী বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে চলমান আছে। এদিকে এর আগে গত ৩০ আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন কামরুজ্জামান ও তার স্ত্রী নিশাত তামান্নার বিরুদ্ধে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের পৃথক দুই মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জুন কামরুজ্জামান ও ২ জুন তার স্ত্রী নিশাত তামান্নার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে দুদক। পরে ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর আদালতে হাজির হয়ে তারা জামিন লাভ করেন।  রোববার সকালে আরডিএ প্রকৌশলী কামরুজ্জামান ও তার স্ত্রী নিশাত তামান্না দুদকের করা মামলায় জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। জামিন শুনানিকালে দুদকের বিশেষ প্রসিকিউটর শহিদুল হক খোকন আসামিদের জামিন বাতিলের পক্ষে মতামত তুলে ধরেন।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবু বাকার ও মিজানউদ্দিনসহ আইনজীবীরা জামিনের পক্ষে মতামত দিয়ে শুনানিতে অংশ নেন। দুইপক্ষের শুনানি শেষে রাজশাহী মহানগর দায়রা ও সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আশিকুজ্জামান আসামিদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে অভিযোগ পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন শেখ কামরুজ্জামানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ২০২২ সালের ১ জুন প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৬ টাকার সমপরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়। গত ৩০ আগস্ট দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা আমির হোসাইন ১ কোটি ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৯১১ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে চার্জশিট প্রদান করেন।

অন্যদিকে শেখ কামরুজ্জামানের স্ত্রী নিশাত তামান্নার (৩৯) বিরুদ্ধেও একই দিনে চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে আদালতে। অভিযোগপত্রে নিশাত তামান্নার বিরুদ্ধে ৬৮ লাখ ৪৯ হাজার ৭৮৪ টাকা অবৈধভাবে অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। নিশাত তামান্নাও ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর থেকে এ মামলায় জামিনে ছিলেন। রোববার স্বামী কামরুজ্জামানের সঙ্গে একই আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শেখ কামরুজ্জামানের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার বারখাদা গ্রামে। অন্যদিকে স্ত্রী নিশাত তামান্না রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার পবা নতুনপাড়া মহল্লার নূরুল ইসলামের মেয়ে।