দেওয়ানি মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে 'প্রতারক' বলে চিহ্নিত করলো আদালত
অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: অস্বস্তি পিছু ছাড়ছে না প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। "বারবার" তার সম্পদকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে শত শত মিলিয়ন ডলার দেখিয়ে ব্যাংক এবং বীমাকারীদের কাছে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন তিনি। সেই মামলাতেই নিউইয়র্কের একজন বিচারক ট্রাম্পকে 'প্রতারক' বলে উল্লেখ করেছেন। নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস সপুত্র ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেছিলেন। আদালতের রায় তার দাবিকেই মান্যতা দিলো। মামলাটি বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে ট্রাম্পের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় ধাক্কা। ট্রাম্পের একজন অ্যাটর্নি এক বিবৃতিতে বিচারকের আদালতের সিদ্ধান্তের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। তাকে এবং তার দুই প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেকে ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মোট মূল্য এবং সম্পদের মূল্য সম্পর্কে মিথ্যা বলার জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন।জেমস দাবি করেছেন যে, আসামিরা ব্যাংক লোন এবং বীমা চুক্তিতে আরও ভাল শর্ত পেতে এবং কম ট্যাক্স দেওয়ার জন্য মিথ্যা ব্যবসার রেকর্ড এবং আর্থিক বিবৃতি জারি করেছে। ২৫০ মিলিয়ন ডলার জরিমানাসহ এবং ট্রাম্পকে তার নিজ রাজ্যে ব্যবসা করার উপর নিষেধাজ্ঞা চাইবেন জেমস।
বিচার প্রক্রিয়া ২ অক্টোবর শুরু হবে এবং কমপক্ষে ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। একটি প্রাক-বিচার পর্বে, জেমস ম্যানহাটনের নিউইয়র্ক রাজ্য আদালতের বিচারপতি আর্থার এনগোরনকে তার দাবির উপর রায় দিতে বলেছিলেন। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, বিতর্কের বাইরে কিছু তথ্য খুঁজে বের করা হলে তা বিচারকে ত্বরান্বিত করবে। যদিও ট্রাম্পের আইনজীবীরা, ইতিমধ্যে, মামলাটি বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা যুক্তি দিয়েছিলেন, ট্রাম্পের ক্রিয়াকলাপে জনগণের ক্ষতি হয়নি, যে ঋণগুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে তা অনেক দিন আগের। ট্রাম্প সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং নিউইয়র্কে মামলাটিকে তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট একজন প্রসিকিউটর দ্বারা আনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে খারিজ করেছেন। যদিও বিচারক এনগোরন মামলাটি প্রত্যাখ্যান করার জন্য ট্রাম্প দলের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং পৃথকভাবে পাঁচজন ট্রাম্প অ্যাটর্নিকে ৭৫০০ ডলার জরিমানা করেছেন। ট্রাম্প এখনও নিউইয়র্কে বিচার প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত করার প্রচেষ্টা জারি রেখেছেন।
পরের বছর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে পুনরায় হোয়াইট হাউস দখলের লড়াইয়ে নামার আগে বেশ কয়েকটি আইনি লড়াইয়ে জর্জরিত ট্রাম্প। চারটি ফৌজদারি মামলায় ৯১টি অপরাধমূলক অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। যদিও সেসব মামলায় তিনি দোষ স্বীকার করেননি। সূত্র : বিবিসি