ঢাকায় ২০০৮ সালের বিধি অনুযায়ী ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার দাবি
প্রথম নিউজ,ঢাকা : ঢাকা শহরের সব এলাকায় ২০০৮ সালের বিধিমালা অনুযায়ী ভবন নির্মাণের অনুমতি প্রদান ও রাস্তা অনুযায়ী যেখানে যত তলা ভবন পাওয়া যেত, সেখানে তত তলা অনুমোদন দেওয়াসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকা শহরের ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিক সমিতি।
রোববার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
সমিতির অন্যান্য দাবিগুলো হলো—নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী সংশোধিত বিধিমালা প্রণয়ন করা; ঢাকা শহরের জলাশয়, খাল-বিল, নদী-নালা, রাস্তাঘাট, খেলার মাঠ, পার্ক, শিল্প প্রতিষ্ঠান, কৃষি, আবাসিক স্থান সংরক্ষণের জন্য ড্যাপ সংশোধন করা; ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা মুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং রাজউক থেকে ভবন নির্মাণে অনুমোদন সহজীকরণসহ যাবতীয় হয়রানি বন্ধ করা।
মানববন্ধনে ঢাকা শহরের ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. দেওয়ান এম এ সাজ্জাদ বলেন, ড্যাপ (২০২২-২০৩৫) এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা শহরের ভূমি মালিকরা ব্যাপক ক্ষতি ও বৈষম্যের শিকার। ড্যাপের মূল উদ্দেশ্য ভূমির শ্রেণীবিন্যাস, সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করা, কিন্তু এসব উদ্দেশ্যকে পাশ কাটিয়ে নির্মাণ বিধিমালার বিষয়টিকে প্রাধান্য না দিয়ে বিগত সরকারের কিছু সুবিধাবাদি লোক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ প্রণয়ন করে নগরবাসীর বাসস্থানের অধিকারকে হরণ করেছে।
২০০৮ এ যে পরিমাণ জমিতে ১০ তলা ভবনসহ যতগুলো ফ্ল্যাটের নির্মাণের অনুমতি পাওয়া যেত বর্তমানে একই পরিমাণ জমিতে ৫ তলা ভবন নির্মাণের অনুমতি ও ফ্ল্যাট সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে- যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত ড্যাপ-এ ঢাকা শহরের ২০ শতাংশ এলাকায় উচ্চ ভবন নির্মাণ করা গেলেও অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ এলাকায় তার অর্ধেক উচ্চতা ও আয়তনের ভবন নির্মাণ করা যাচ্ছে, যার ফল আমরা ঢাকা শহরের ৮০ শতাংশ মানুষ বিগত দুবছর যাবত কোনো নকশা অনুমোদন করতে পারছি না।
মানববন্ধনে ঢাকা শহরের ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিক সমিতির অন্যান্য সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মো. হুমায়ুন কবির, মো. জাহাঙ্গীর আলম, এ. কে. এজাজ মাহমুদ প্রমুখ।
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ পুলিশের ৪০ তম ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর ব্যাচ থেকে অব্যাহতি প্রাপ্তরা৷
রোববার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা৷
এর আগে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমীতে ৪০ তম ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার মাত্র এক মাস আগে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়৷
অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে আয়োজকদের একজন রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে নিজের পকেটের টাকা দিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছি৷ সবাই আমরা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান৷ আমাদের পরিবার এই চাকরির জন্য কত কিছুই ত্যাগ করেছে কিন্তু আজ আমরা অব্যাহতিপ্রাপ্ত৷ এ যন্ত্রণা বোঝানোর মতো নয়৷
রবিউল বলেন, আমাদের অন্যায়ভাবে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে৷ এটা মেনে নেওয়া যায় না৷ আমরা সরকারের কাছে আহ্বান করবো দ্রুত আমাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করার৷
সাজেদুল নামের আরেকজন বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, আইজিপি স্যার বরাবর এবং গুরুত্বপূর্ণ সব দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছি৷ কোনো সাড়া পাচ্ছি না৷ আজ আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি৷ শান্তিপূর্ণ এ অবস্থান কর্মসূচি শেষে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলন করবো৷ সেখানে আরও বিস্তারিত তুলে ধরা হবে৷