ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন

আজ রাজধানীতে আয়োজিত যুব ও ছাত্র সমাবেশ থেকে এই মহাসমাবেশের ঘোষণা দিতে পারেন দলের আমীর ও চরমোনাইর পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। 

ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: নির্দলীয় সরকারের দাবিতে রাজধানীতে মহাসমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ রাজধানীতে আয়োজিত যুব ও ছাত্র সমাবেশ থেকে এই মহাসমাবেশের ঘোষণা দিতে পারেন দলের আমীর ও চরমোনাইর পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন-জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অনড় ইসলামী আন্দোলন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান রাখবেন তারা। চলতি মাসের শেষ কয়েকদিন ধারাবাহিক কর্মসূচিও আসতে পারে এমনটাও বলছেন কেউ কেউ। দাবি আদায়ে রোডম্যাপও সাজিয়েছে দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। সরকারবিরোধী অন্যান্য দলগুলোর লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করলে ইসলামী আন্দোলনও তাৎক্ষণিক কর্মসূচি দিয়ে মাঠে সরব থাকতে চায়। নীতিনির্ধারকরা বলছেন- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে চলতি মাসের শেষ দিকে লাগাতার কর্মসূচি আসবে। 

এদিকে আজ রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে ‘ছাত্র-যুব সমাবেশ’ করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ, ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন এবং বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করবে দলটি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন বেশ কয়েকটি যৌথসভা করেছে ইসলামী যুব আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন। ব্যাপক শোডাউনের লক্ষ্যে সারা দেশ থেকে ঢাকায় এসেছেন নেতাকর্মীরা। 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একাধিক নেতা জানিয়েছেন- ‘ছাত্র-যুব সমাবেশ’-এর মধ্যে দিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনে প্রবেশ করবে দলটি। পূজার পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি লাগাতার কর্মসূচি আসবে। ২৮শে অক্টোবর পুরানা পল্টন কিংবা বায়তুল মোকাররম এলাকায় মহাসমাবেশ নিয়েও ভাবছেন তারা। বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলোর কর্মসূচি ও পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার পতনে তাৎক্ষণিকভাবে কর্মসূচি ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করা হবে। তবে সরকারের কোনো ফাঁদে পা দিবে না ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। অতীতের নানা অভিজ্ঞতার আলোকে এবার অনেকটাই গোপনে আন্দোলনের রূপরেখা সাজিয়েছেন নেতারা।

ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, ‘ছাত্র-যুব সমাবেশ’ ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকার কর্মসূচিতে যোগ দিবেন। ইসলামী আন্দোলনের আমীর এই সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা ও দিকনির্দেশনা দিবেন। যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে আমরা সেটাই বাস্তবায়ন করবো। সরকারবিরোধী আন্দোলনে আমরা সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে রাজপথে নামতে প্রস্তুত আছি। 

ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র ও সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, সংসদ ভেঙে দেয়াসহ জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আমাদের কর্মসূচি চলমান রয়েছে। শিগগিরই চূড়ান্ত আন্দোলনের পরিণতি ঘটবে। আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। পূজার পর চলতি মাসের শেষদিকে নতুন কর্মসূচি আসতে পারে। মাঠের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন দলীয় আমীর। অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর কর্মসূচি পর্যালোচনা করে তাৎক্ষণিক যেকোনো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সরকার যদি এ দাবি না মানে তাহলে গণঅভ্যুত্থান ঘটতে পারে। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে যেকোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।