ঢাকার রাস্তায় দেখি আফগানিস্তানের মেয়ে নয়তো পাকিস্তানের: মেনন
মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ‘৭১-এর সংবিধান ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: ‘আমরা রাষ্ট্রকে ধর্মের লেবাস পরিয়ে দিয়েছি। এ কারণে একদিকে যেমন সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার ঘটছে, অন্যদিকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ বাড়ছে। এটি তো আমাদের সংবিধানে নেই। এই সংবিধান তো আমরা চাইনি। তাই রাজনীতিকে ধর্ম থেকে আলাদা করতে হবে। ধর্ম পালনে কোনো বিরোধ নেই। সবাই যার যার ধর্ম পালন করবেন।’ মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ‘৭১-এর সংবিধান ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন।
মেনন বলেন, ‘ঢাকায় রাস্তায় চলতে গিয়ে এখন বাঙালি মেয়ে দেখি না। হয় দেখি আফগানিস্তানের মেয়ে নয়তো পাকিস্তানের মেয়ে।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি ছাত্রলীগের একটি মিছিল যাচ্ছে। স্বভাবতই আমি সেখানে বাঙালি মেয়ে খুঁজতে লাগলাম। কিন্তু আমি শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ পরা ৪-৫ জন মেয়েকে দেখেছি। বাকিরা সবাই বোরকা বা হিজাব পরা। এটি তো আমাদের সংবিধানের ধারণাকে ধারণ করে না।’
মেনন বলেন, ‘৭২-এর সংবিধান এখন আর ৭২-এর সংবিধান নেই। যতভাবেই বলি-না কেন। আমাদের এখনো সময় আছে, আমাদের ৭২ সংবিধানটিকে মূল ধারায় ফিরিয়ে দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সংবিধানেই একমাত্র স্থানীয় সরকার অধ্যায়টি আছে। উপমহাদেশের অন্য কোনো সংবিধানে স্থানীয় সরকার অধ্যায় নেই। অথচ আমাদের সংবিধানের ধারা-উপধারায় অনেক পারস্পরিক বিরোধ দেখা দিয়েছে- তা আমাদের কাম্য নয়।’
সাইবার নিরাপত্তা আইন বিষয়ে মেনন বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে ধারাগুলো ছিল সেটিই সাইবার নিরাপত্তা আইনে রয়ে গেছে। মূলত মৌলিক অধিকারের জায়গায় যে ভয়টি ছিল, সেটি রয়ে গেছে। তাহলে আর সংশোধনটি হলো কোথায়?’
বাংলাদেশ আইনজীবী সংসদের সুপ্রিমকোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট জোবায়দা পারভিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আবদুন নুর দুলাল, বাংলাদেশ আইনজীবী সংসদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফিরোজ আলম প্রমুখ।