ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে কে এই অস্ত্রধারী যুবক?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে কে এই অস্ত্রধারী যুবক?

প্রথম নিউজ, ঢাকা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে এক যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।

পরে সেই ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, কার্জন হল এলাকায় নির্মিতব্য আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের নিচে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল গেটে এক যুবক আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে আছেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসান মোল্লা নামের ওই যুবক ঢাকা কলেজের ছাত্রাবস্থায় থাকতেন কলেজের আখতারুজ্জামান ইলিয়াস হলে৷ ছাত্রজীবনের শুরুতেই ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন৷ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের কমিটিতে কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক পদে ছিলেন৷

ঢাকা কলেজ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতা সোমবার দিনগত রাতে জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন৷

সাবেক এই নেতারা জানিয়েছেন, হাসান মোল্লা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসারের ভাগ্নে৷ যাকে ক্যাসিনো-কাণ্ডে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। হাসান বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ড, গৃহায়ণ ও গণপূর্তের অন্যতম একজন ঠিকাদার৷ মালিক বনেছেন কয়েকশো কোটি টাকার।

জানা গেছে, অস্ত্রধারী হাসান মোল্লার বিরুদ্ধে এর আগেও কয়েকজনকে গুলিবিদ্ধ করার অভিযোগ আছে। তবে তার ব্যবহৃত অস্ত্রের লাইসেন্স আছে কি না, তা জানা যায়নি। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ।

সোমবারের ওই সংঘর্ষ চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সাবেক কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতি দেখা গেছে৷
এদিকে, সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় নিউ মার্কেট থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল হাসান ফাহাদ (২৭) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সামনে গুলিবিদ্ধ হন ফাহাদ। পরে গুলিবদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে অস্ত্রোপচার শেষে সার্জারি বিভাগের ১০১ ওয়ার্ডের ৯ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়েছে।রাতে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, সংঘর্ষে রাত পর্যন্ত ৩০০ শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে দুই নারী শিক্ষার্থী ও গুলিবিদ্ধ একজনসহ ১৩ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন।