ডিজিটাল শাটডাউনের মাধ্যমে মানুষের অধিকার হরণ করা হচ্ছে: ফখরুল
রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
প্রথম নিউজ, নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিজিটাল শাটডাউনের মাধ্যমে সরকার মানুষের অধিকার হরণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন। ইন্টারনেট শাটডাউনসহ সকল ধরনের ডিজিটাল নির্যাতনের প্রতিবাদে বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টের কারনে শুধুমাত্র বিএনপির নেতাকর্মী নয়, মুক্তমনা মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। বিরোধীদল দমনে ডিজিটালাইজেশনসহ ইন্টারনেট শাটডাউনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার।
তিনি বলেন, সরকার গণঅভ্যুত্থানের ভয়ে নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে, ডিজিটাল শাটডাউনের মাধ্যমে মানুষের অধিকার হরণ করছে। বিএনপির কর্মসূচি ব্যাঘাত ঘটাতে সমাবেশের দিন ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ রাখছে। বিটিআরসিকে সরকার জনগণের বিরুদ্ধে নিপীড়নের বিরুদ্ধে নতুন আধুনিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এটি সুস্পষ্টভাবে ব্যক্তির নাগরিক অধিকারের লঙ্ঘন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, শুধু ইন্টারনেট বন্ধ নয়, রাস্তায় মানুষকে আটকে তাদের ব্যক্তিগত মোবাইল তল্লাশির নামে গণহয়রানী করা হচ্ছে। সরকার ডিজিটালাইজেশনকে জনগনের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ইন্টারনেট শাটডাউনের ঘটনা নাগরিক অধিকারের ভয়ংকর লংঘন। আগামী দিনের রাজনীতিকে সামনে রেখে মানুষের ডিজিটাল অধিকারকে আরও সংকুচিত করার আশংকা প্রকাশ করেন বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, বিদেশ থেকে নজরদারি প্রযুক্তি কিনে জনগনের ওপর তার প্রয়োগ করছে সরকার, তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। মির্জা ফখরুল বলেন, চূড়ান্ত ফয়সালার সময়ে অনুপ্রবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপির আন্দোলন। সরকারের সকল নির্যাতনকে ব্যর্থ করে আন্দোলন এগিয়ে চলছে।
সংবাদ সম্মেলন অন্যদের মধ্যে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনি, সদস্য শাম্মী আক্তার, রুমিন ফারহানা, কাদের গণি চৌধুরী, মীর হেলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।