প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে আমরা এ দেশের মানুষের মুখের তৃপ্তির হাসি দেখেছি। তেমনি আগামীতে দেশ নায়ক তারেক রহমানের শাসন আমল যেন তেমনি হয়। যদি সত্যিই সেটা করতে পারি। তাহলে মাওলানা ভাসানীর প্রতি সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা জানানো হবে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলানায়তনে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, মাওলানা ভাসানীকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশ নায়ক তারেক রহমান বরাবর শুধু শ্রদ্ধা করে না তারা মনে করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সর্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র রক্ষায় মাওলানা ভাসানী আমাদের আগন্তুক পুরুষ, আরধ্য নেতা, মহানায়ক। অন্যায়ের বিরুদ্ধে খামোশ বলে ব্রিটিশ ও পাকিস্তানীদের ভীতু করা যায় এটা দেখিয়েছেন মাওলানা ভাসানী।
তিনি বলেন, তার (মাওলানা ভাসানী) পুরোটা জীবন ব্যয় করেছেন স্বাধীনতার, গণতন্ত্র মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। তিনি সারা ভারতবর্ষ চষে বেড়িয়েছেন। চীনের প্রেসিডেন্ট মাও সেতুর আমন্ত্রণে চীনে গিয়েছিলেন। চীন থেকে ফিরে করাচি বিমানবন্দরে যখন নামেন তখন সাংবাদিকরা মাওলানা ভাসানীকে প্রশ্ন করেছিলেন। চীনের কোন জিনিসটা আপনার ভালো লেগেছে। তিনি বলেছিলেন চীনের মানুষের মুখের হাসি আমার ভালো লেগেছে। অর্থাৎ মাও সেতু চীনকে যে এগিয়ে নিয়েছে যার কারণে চীনের মানুষ তৃপ্তির হাসি হেসেছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলেও আমরা এ দেশের মানুষের মুখের তৃপ্তির হাসি দেখেছি। তেমনি আগামীতে দেশ নায়ক তারেক রহমানের শাসন আমল যেন তেমনি হয়। যদি সত্যিই সেটা করতে পারি। তাহলে মাওলানা ভাসানীর প্রতি সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা জানানো হবে।
কৃষক দলের নেতা এস কে সাদির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচবি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মির সরফত আলি সপু, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনসহ প্রমুখ।