জীবনসঙ্গী খুঁজতে গিয়ে সাড়ে ৬ কোটি রুপি হারালেন দলজিৎ

জীবনসঙ্গী খুঁজতে গিয়ে সাড়ে ৬ কোটি রুপি হারালেন দলজিৎ

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসে ভালবাসা খুঁজতে গিয়েছিলেন ভারতের দলজিত সিং। ডেটিং অ্যাপে একাউন্ট খুলে ভালবাসার মানুষ খুঁজতে থাকেন। কিন্তু পরিণামে যা ঘটলো তাতে সারাজীবনের সঞ্চয়ের ৬.৫ কোটি রুপি খোয়ালেন। দলজিৎ সিং বিচ্ছেদপ্রাপ্ত একজন পুরুষ। তার বসবাস নয়ডায়। ওই অ্যাপে গত বছর একজন যুবতীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তিনি দলজিৎকে উদ্বুদ্ধ করেন সুনির্দিষ্ট কিছু কোম্পানিতে। প্রলোভন দেন যে, এতে তার ব্যাপক লাভ হবে। সেই ফাঁদে পা দেন দলজিৎ। পরিণামে যা হলো তাতে তিনি সারাজীবনের সঞ্চয় হারালেন।

ডিসেম্বরে দলজিৎ সিং দিল্লি ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে অনীতা নামের এক যুবতীর প্রেমে পড়েন। অনীতার বাড়ি হায়দরাবাদে। তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ ছাড়াও অন্তরঙ্গ আলোচনা, কথোপকথন  চলতে থাকে। তারা হয়ে ওঠেন ভাল বন্ধু। এমনি করে দলজিৎ সিংয়ের আস্থা অর্জন করে ফেলেন অনীতা। তিনি তিনটি কোম্পানিতে উচ্চ হারে লাভের টোপ ফেলেন। তাতে রাজি হয়ে যান দলজিৎ। প্রথমে ৩.২ লাখ বিনিয়োগ করেন একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে লাভ আসে ২৪ হাজার রুপি। তিনি ওই একাউন্ট থেকে সঙ্গে সঙ্গে ৮ হাজার রুপি নিজের ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তর করেন। এতে তার আস্থা আরও বেড়ে যায়।

দলজিৎ সিং মনে করতে থাকেন যে, অনীতা তার একজন শুভাকাঙ্খি এবং তাকে সঠিক পরামর্শই দিয়েছেন। এরপরেই বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করেন তিনি। প্রায় সাড়ে চার কোটি রুপি বিনিয়োগ করেন। অনীতার পরামর্শে দুই কোটি রুপি ঋণ নেন। সবই বিনিয়োগ করেন। ৩০টি বিভিন্ন লেনদেনের মাধ্যমে ২৫টি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে মোট ৬.৫ কোটি রুপি বিনিয়োগ করেন দলজিৎ। আগের মতো তিনি কিছু অর্থ উত্তোলন করতে যান। এ সময় তাকে জমা টাকার আরও শতকরা ৩০ ভাগ জমা দিতে বলা হয়। তাতে অস্বীকৃতি জানান দলজিৎ। হঠাৎ করে দলজিৎ সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। অনীতা তাকে যে তিনটি ওয়েবসাইটের খবর দিয়েছিলেন তার মধ্যে দুটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে সন্দিহান হয়ে ওঠেন দলজিৎ। তিনি নয়ডা সেক্টর ৩৬-এ গিয়ে সাইবার পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে দেখা যায়, অনীতা বিনিয়োগের জন্য যে অ্যাপ প্রোফাইল তৈরি করেছিলেন, তা ভুয়া। এখন পুলিশ খোঁজ করার চেষ্টা করছে যে, লেনদেন করা অর্থগুলো কোন একাউন্টে জমা হয়েছে।