জিনিসপত্রের দাম কমেনি ছয় মাসেও, ভাঙেনি সিন্ডিকেট : শামা ওবায়েদ

জিনিসপত্রের দাম কমেনি ছয় মাসেও, ভাঙেনি সিন্ডিকেট : শামা ওবায়েদ

প্রথম নিউজ, অনলাইন:   বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম বলেছেন, 'পলায়নলীগের নেত্রী ভারতে পালিয়ে গেছেন। ছয় মাস পার হয়ে গেছে, পলায়ন লীগ দেখা যায় না, দৃশ্যমানও নেই, কিন্তু এখনও ষড়যন্ত্র থেমে নেই, চলছে।'

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, 'এখনও বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমেনি, ছয় মাস পার হয়ে গেছে সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেন না কেন। শেখ পরিবারের একটি সদস্যদের ধরতে পারেন নাই কেন, এরা পালালো কীভাবে? যারা গুলির অর্ডার দিছে, শিশুকে টার্গেট করে হত্যা করেছে।
যারা গত ১৫ বছর গুম, খুন করেছে, আয়না ঘরে রেখেছে তারা এখনও প্রফেসর ইউনুসের আশপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। এই জন্য বাংলাদেশে এখন উন্নয়ন হচ্ছে না।’

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের থানা রোডে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
এর আগে অন্য কোনো স্থানীয় নির্বাচন দেওয়া যাবে না। বিএনপি সাম্যের রাজনীতি করে, সমতার রাজনীতি করে। আগামী সংসদ নির্বাচনে যদি বিএনপি জয়লাভ করে ক্ষমতায় যায় তাহলে দুর্নীতিমুক্ত সংসদ গড়ে তোলা হবে। যে সংসদ জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।
এরকম একটা রাষ্ট্র আমরা গঠন করতে চাই। আমরা সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এগিয়ে যাব।’

তিনি বলেন, ‘রাতের বেলা আওয়ামী লীগ আপনাদের ফোন দেয়, এখন জয় বাংলা ভুলে গিয়ে জিন্দাবাদ বলতে চায়। এই বেঈমানদের দলে নেওয়া যাবে না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নিজের শক্তিতে মহিয়ান।
আজকের এই সমাবেশ প্রমান করে বিএনপি কতটা শক্তিশালী ও জনপ্রিয় দল।’

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক ও সেলিমুজ্জামান সেলিম, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ।

ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি, সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার ফজলুল হক টুলু, আলী আশরাফ নান্নু, দেলোয়ার হোসেন দিলা, গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন, আতাউর রশীদ বাচ্চু, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি সাবেক সাংসদ খন্দকার নাসিরুল ইসলাম প্রমুখ।সমাবেশে সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ ও জুলফিকার হোসেন জুয়েল।