জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ ছাত্র রিমান্ডে

বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার নারিন্দা এলাকা থেকে ওয়ারী পুলিশের সহায়তায় এ শিক্ষার্থীদের আটক করে যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ ছাত্র রিমান্ডে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ ছাত্র রিমান্ডে

প্রথম নিউজ, ঢাকা : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার নারিন্দা এলাকা থেকে ওয়ারী পুলিশের সহায়তায় এ শিক্ষার্থীদের আটক করে যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশ। পরে তাঁদের আদালতে নেওয়া হলে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে জামায়াত–শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা, হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশ বলছে, শিক্ষার্থীরা প্রাথমিকভাবে দোষ স্বীকার করেছেন। এ–সংক্রান্ত মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) নওশের আলী বলেন, আটক শিক্ষার্থীদের গত ১২ মের এক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই দিন সকালে যাত্রাবাড়ী থানাধীন কুতুবগলি পকেট গেট এলাকায় ছাত্রশিবিরের ২০০-২৫০ জন সদস্য নাশকতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করছিলেন। একপর্যায়ে হামলা-ভাঙচুর, একটি লেগুনায় অগ্নিসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানার এসআই সাব্বির একটি মামলা করেন। তদন্তের পর এই শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা প্রাথমিকভাবে অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাঁদের কাছে ছাত্রশিবিরের বইপত্র পাওয়া গেছে। ঘটনার আরও তদন্ত চলছে। নওশের আলী আরও বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদারক করছে। প্রাথমিক তথ্যে তাঁদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের অভিভাবকদের জানানো হয়েছে।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে আমাদের জানানো হয়নি। তাই তারা আমাদের শিক্ষার্থী কি না, আমরা নিশ্চিত নই। যদি আমাদের শিক্ষার্থী হয়, আমরা পুলিশকে জানাব। তবে অভিযুক্ত না হলে কাউকে হয়রানি যেন না করা হয়।’ পুলিশ বলেছে, ঘটনার দিন নারিন্দা থেকে মোট ৯ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা না থাকায় পরে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁদের একজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের, অন্যজন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী। এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশের দুটি গাড়িতে প্রায় ৪০ জনের মতো এসে প্রথমে তাঁদের ফোন নিয়ে নেয়। মেসে তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু কাগজপত্র পান তাঁরা। পরে সেখান থেকে ৯ জনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি সাতজন শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের।