চীনকে ঠেকাতে ক্ষেপণাস্ত্র বাড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
সোমবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শুধু সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে আর সুরক্ষিত রাখা যাবে না বলে প্রতিরক্ষা পর্যালোচনা প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে।

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়ার দূরপালার ক্ষেপণাস্ত্র কেনা উচিত বলে সুপারিশ করা হয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা পর্যালোচনা প্রতিবেদনে। সোমবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শুধু সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে আর সুরক্ষিত রাখা যাবে না বলে প্রতিরক্ষা পর্যালোচনা প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা পর্যালোচনা প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সরকার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কেনার পেছনে এক হাজার ৯০০ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার খরচ করার ঘোষণা দিয়েছে।
সম্প্রতি ১১০ পৃষ্ঠার পর্যালোচনা প্রতিবেদন দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগ। এ প্রতিবেদনকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা খাতে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। চীন ও তাইওয়ানকে ঘিরে যখন উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে, তখন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা পর্যালোচনা প্রতিবেদনটি সামনে এলো। চীনের নৌবাহিনী ইতোমধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের উপস্থিতি বাড়িয়েছে।
এ অঞ্চলের কিছু অংশকে তারা নিজেদের বলে দাবিও করেছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ বলেছেন, প্রতিরক্ষা বিভাগের পর্যালোচনা প্রতিবেদনে যেসব সুপারিশ করা হয়েছে তা অস্ট্রেলিয়াকে আÍনির্ভরশীল ও নিরাপদ করে তুলবে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস বলেছেন, ‘প্রতিরক্ষা পর্যালোচনা প্রতিবেদনে অস্ট্রেলিয়াকে স্থলভিত্তিক যুদ্ধাস্ত্র থেকে দূরপালার ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতার দিকে মনোনিবেশ করার সুপারিশ করা হয়েছে। আমাদের এখন এমন একটি প্রতিরক্ষা বাহিনী দরকার, যারা প্রভাবমূলক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে।’ রিচার্ড মার্লেস আরও বলেছেন, ‘নতুন কেনা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে পারবে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনীকে নিঃসন্দেহে আরও শক্তিশালী করবে।’ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীকে দেশটির উত্তরাঞ্চলে ঘাঁটি স্থাপন ও অপারেশন পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া উচিত বলেও প্রতিরক্ষা পর্যালোচনা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিবিসি বলেছে, রাশিয়ার অগ্রগতি ঠেকাতে ভ‚মিভিত্তিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রকেট সিস্টেম ‘হিমার্স’ কেনারও পরিকল্পনা করছে অস্ট্রেলিয়া। গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮৯ কোটি ৫০ হাজার ডলার মূল্যের ২২০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে।