চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় চার মামলায় ৭ হাজার আসামি, গ্রেফতার ৮৮

ঘটনার পর রাতভর অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ৮৮ জনকে।

চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় চার মামলায় ৭ হাজার আসামি, গ্রেফতার ৮৮

প্রথম নিউজ, চট্টগ্রাম: মঙ্গলবারের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ ও খুলশী থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা ৭ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর রাতভর অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ৮৮ জনকে। তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে দায়ের করা মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচলাইশ থানায় তিনটি ও খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা যুগান্তরকে বলেন, তার থানায়  হত্যা, দাঙ্গা ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে এবং বিস্ফোরক আইনে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেছে। মঙ্গলবারের সংঘর্ষে আহত হওয়া শিক্ষার্থী ইমন ধরের মা বাদী হয়ে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেন। ইমন ধর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ও হামলার অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলার প্রতিটিতে ১৫০ জন করে তিনশ জনকে আসামি করা হয়েছে।  তিনটি মামলায় সাড়ে ৬ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান ওসি সন্তোষ।

অন্যদিকে খুলশী থানার শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, মঙ্গলবার হামলায় আহত সাহেদ আলী নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে তার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।

সিএমপি সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার সংঘর্ষের পর নগরীর ১৬ থানা এলাকায় রাতভর অভিযানে চালিয়েছে পুলিশ। অভিযানে ৮৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শুভ দেবনাথ ও সাবেক সহসভাপতি ড্যানি বিশ্বাসও রয়েছেন।

মঙ্গলবার মুরাদপুর ও ষোলশহর এলাকায় কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে চট্টগ্রাম কলেজ ও এমই এস কলেজের দুই শিক্ষার্থী- ওয়াসিম আকরাম ও শান্ত এবং ফারুক নামে এক দোকান কর্মচারী নিহত হন। দুই শিক্ষার্থীকে গুলি করে ও দোকান কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আহত হয় অন্তত ৬০ জন। এদের মধ্যে ৪০ জন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ছাত্রলীগ-যুবলীগের অনেকে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। একইভাবে কোটা আন্দোলনকারীরা একটি ভবন ঘিরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মারধর ও ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।