গণতন্ত্রকে সমাহিত করে অপশাসনে গোটা জাতিকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: গণতন্ত্রকে সমাহিত করে অপশাসনের বেড়াজালে গোটা জাতিকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমি ’৫২—র ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাঁদের রুহের মাগফিতার কামনা করি। অধিকার আদায় এবং অন্যায়—অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক অগ্নিঝরা দিন একুশে ফেব্রুয়ারী। মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করে তাঁরা আত্মত্যাগের যে মহিমান্বিত দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন—সংগ্রামে তা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁদের আত্মদানের ধারাবাহিকতায় গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা অবতীর্ণ হয়েছি স্বাধীনতা যুদ্ধে। অর্জিত হয়েছে স্বাধীন—সার্বভৌম বাংলাদেশ। জাতীয়তাবোধ ও অধিকারবোধের চেতনা পরিপূর্ণতা পায় মহান ২১শে ফেব্রুয়ারী ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে।
সেই চেতনা নস্যাৎ করে একদলীয় শাসনের জগদ্দল পাথর আজ জনগণের কাঁধের ওপর চাপানো হয়েছে। গণতন্ত্রকে সমাহিত করে অপশাসনের বেড়াজালে গোটা জাতিকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। অবৈধ শক্তির জোরে সাজানো মিথ্যা মামলায় ফরমায়েসী সাজা দিয়ে জনগণের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দী করে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হয়েছে। ৭ জানুয়ারী একতরফা ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও দখলকৃত ক্ষমতা সম্প্রসারণের প্রচেষ্টায় বেপরোয়া ও অত্যাচারী হয়ে উঠেছে অবৈধ সরকার। চলমান ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণ একুশের চেতনায় রুখে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি—একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এদেশের সংগ্রামী মানুষ মৃতপ্রায় গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনসহ দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলনকে আরও বেশী জোরালো ও তীব্রতর করবে। ভাষা শহীদের মহিমান্বিত অবদানের কারণে অমর একুশে ফেব্রুয়ারী আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে। এটি বিশ^জুড়ে ভাষাগত বৈচিত্র এবং বহুভাষিকতা প্রচারের একটি দিন। জাতি হিসেবে মাতৃভাষার প্রতি আমাদের ভালবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশের এক গর্বিত দিন একুশে ফেব্রুয়ারী। আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে চর্চার মাধ্যমে অধিকতর সমৃদ্ধশালী করে তুলতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। যাতে জাতি হিসেবে বিশ^সভায় আমাদের সম্মান ও মর্যাদা আরও বেশী উচ্চস্থান লাভ করে।