গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে পুলিশি হামলা ন্যাক্কারজনক ঘটনা:রিজভী

গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে পুলিশি হামলা ন্যাক্কারজনক ঘটনা:রিজভী

প্রথম নিউজ ঢাকা: একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহবানে মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে পুলিশি হামলা ন্যাক্কারজনক বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এক বিবৃতিতে তিনি এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন পুলিশি হামলায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ গণতন্ত্র মঞ্চের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আহত হয়েছেন। এর আগে সমাবেশস্থলে আসার পথে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) মিছিলে পুলিশ কয়েক দফায় বাধা দেয় এবং ব্যানার কেড়ে নেয়। এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের লিফলেট বিতরণে বাধা দেয় পুলিশ।  
এক বিবৃতিতে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার একটা ডামি নির্বাচন আয়োজন করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে দলীয় অঙ্গ সংগঠনের মতো ব্যবহার করছে। পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও বিভিন্ন বাহিনীকে দিয়ে আওয়ামী লীগ এখন ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে নিতে হুমকি ও জবরদস্তি করছে। এটাই হলো শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের নমূণা। তবে যুগে যুগে স্বৈরাচারের ঐতিহাসিক করুণ পরিণতি আওয়ামী লীগকে ভোগ করতেই হবে।
দেশে দু:শাসন থাকার কারণে এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে আন্দোলনরত গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর মরণকামড় দিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। আজ গণতন্ত্র মঞ্চের শান্তিপূর্ণ লিফলেট বিতরণপূর্ব সমাবেশে হামলা ও নেতৃবৃন্দকে আহত করাসহ জেএসডি ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশী বাধা ও ব্যানার কেড়ে নেয়ার ঘটনায় প্রমাণিত হয় বাংলাদেশ বর্তমানে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। 
জনগণের ওপর হামলা, মামলা, আন্দোলনরত বিরোধী দলগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে কারান্তরীণ রাখা এবং নানাভাবে নাশকতার নাটক সাজিয়ে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপানোসহ বর্তমান শাসকগোষ্ঠী এখন ফ্যাসিবাদের চরম রুপে আত্মপ্রকাশ করেছে। দুর্নীতি এবং সম্পদ পাচারে আন্তর্জাতিকভাবে ধিকৃত আওয়ামী সরকারের অস্তিত্ব এখন এতোটাই সংকটাপন্ন যে, আবারও প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা দেশের জনগণসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী যারা গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে স্বত:স্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করছেন তাদেরকে রাষ্ট্রীয়শক্তি দিয়ে নিশ্চিহ্ন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু এসব বর্বরোচিত কর্মকান্ড সংঘটিত করে আওয়ামী লীগ সরকার এবার আর তাদের ইচ্ছা পূরণ করতে পারবে না। জনগণের সম্মিলিত শক্তি বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর পাতানো নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে।
বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে পুলিশী হামলা ও নেতৃবৃন্দকে আহত করাসহ অন্যান্য সংগঠনের মিছিলে বাধা ও ব্যানার কেড়ে নেয়ার ঘটনায় তীব নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।