গাজায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই

গাজায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই

প্রথম নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। আল-শিফা হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ ওই হাসপাতালে ইসরায়েলের অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২১ জন রোগী নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও জানিয়েছে যে, মধ্য গাজার আল-আকসা হাসপাতাল প্রাঙ্গনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছে। এদিকে ইসরায়েলি হামলায় ইসমাইল আলী আল-জিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েল বলছে, তিনি হিজবুল্লাহর ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটের কমান্ডার ছিলেন।

অপরদিকে শিগগির নতুন দফায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু হবে এমন খবর অস্বীকার করেছেন হামাসের ওসামা হামদান।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। গাজার উত্তর, দক্ষিণ এবং মধ্যাঞ্চলে কোনো স্থানই ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে রেহায় পায়নি।

পুরো গাজা যেন এখন এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানকার অধিকাংশ মসজিদ, বাড়ি-ঘর এবং ভবনই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে কমপক্ষে ৩২ হাজার ৭৮২ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৫ হাজার ২৯৮ জন।

এদিকে গাজায় হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তি ও প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবি করে রাজধানী তেল-আবিবে বিক্ষোভ করেছে ইসরায়েলিরা। তবে এই বিক্ষোভ থেকে ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েল।

পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ট্রাফিক বিশৃঙ্খলা ও রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে দেওয়ার কারণে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করছেন। এসময় কিছু বিক্ষোভকারী জলকামানের সামনে দাঁড়িয়ে যান এবং স্লোগান দিতে থাকেন।

গাজায় অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে মিশর, ফ্রান্স এবং জর্ডান। একই সঙ্গে হামাসের হাতে জিম্মি থাকা লোকজনকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়। শনিবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে তিন দেশের কূটনীতিকদের মধ্যে বৈঠকের পর তারা গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।