গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে মহানগরী উত্তর জামায়াতের বিক্ষোভ
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত গাজায় ইসরাইলী বর্বর বাহিনীর গণহত্যা ও হামলার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশ এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, মজলুম ফিলিস্তিনি রক্ত কোনভাবেই বৃথা যাবে না বরং শহীদদের রক্তের পথ ধরেই বিজয় এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত গাজায় ইসরাইলী বর্বর বাহিনীর গণহত্যা ও হামলার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশ এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর-১ নং গোল চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টেকনিক্যালে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জিয়াউল হাসান, ইয়াসিন আরাফাত ও জামাল উদ্দীন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মু. আতাউর রহমান সরকার ও নাসির উদ্দীন, ছাত্রনেতা সালাহ উদ্দিন, আব্দুর রহিম ও আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
ড. এম আর করিম বলেন, ইসরাইলি বর্বর বাহিনী ফিলিস্তিনি নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার নিরপরাধ গাজাবাসীকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। মূলত ইসরাইলী বর্বরতা হালাকু খানের বাগদাদ ধ্বংসের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে।
মূলত, গাজায় জায়নবাদীরা যা করছে তা রীতিমতো যুদ্ধাপরাধের শামিল। তাই বর্বর ইসরাইলী বাহিনীকে একদিন বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। তিনি অবিলম্বে গাজায় ইসরাইলী হামলা বন্ধ করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান। অন্যথায় বিশ্বমুসলিম ঘরে বসে তামাশা দেখবে না।
তিনি বলেন, মূলত স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিনই মধ্যপ্রাচ্য সংকটের অদ্বিতীয় সমাধান। তাই মুসলিম উম্মাহ স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষেই রয়েছে। কিন্তু ইহুদীবাদী দখলদাররা ভূমিপুত্রদের সেখান থেকে উৎখাত করার জন্য নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের জিঘাংসা ও প্রতিহিংসা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নিরাপরাধ নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও।
এমনকি জায়নবাদী বর্বরতার শিকার হচ্ছে মসজিদ, গির্জা, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সর্বোপরি তারা রাফায় হামলার হুমকি দিয়ে পুরো পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলছে। তাই ইহুদিবাদীদের এই নির্মমতা বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, শুধু মুখে নিন্দা নয় বরং সংসদের নিন্দা প্রস্তাব এনে মজলুম ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করুন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার মুখে বিরোধী হলেও তারা মূলত ইসরাইল বান্ধব সরকার। তারা ইসরাইল থেকে অস্ত্র আমদানি করে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করছে। তারা জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আওয়ামী দেশে মানবাধিকারের ব্যাপক লঙ্ঘন করেছে। তারা জাতীয় নেতা ও আলেম-উলামাদের ওপর ব্যাপক নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে। কিন্তু জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কোন স্বৈরাচারী ও ফ্যাসীবাদী শক্তির শেষ রক্ষা হয়নি; আর কারো হবেও না। তিনি সরকারকে অবিলম্বে দেশ, জাতিস্বত্তাও ইসলামী বিরোধী ষড়যন্ত্র বন্ধ করার আহবান জানান। অন্যথায় তাদেরকে একদিন গণরোষের মুখোমুখি হতে হবে।