খুলনায় বিএনপির ১৩০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা, গ্রেপ্তার ১৩
খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খালিদ উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
প্রথম নিউজ, খুলনা: খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খালিদ উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
আজ শনিবার (২০ মে) বেলা ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে খুলনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, শুক্রবার রাতেই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সোহেল রানা (২০), গাজী সালাউদ্দীন (৪২), আতাউর রহমান (৪৮), সেকেন্দার শেখ (৬০), শাইখুল মোল্যা (৩৪), ওয়াহিদ শেখ (৩২), রাসেল (২৪), রাব্বি চৌধুরী (২৯), মাহবুব গাজী (২৬), মনিরুজ্জামান মামুন (৪২), রাজু শেখ (৪১), আলিফ মিলন (৩১) ও রাসেল (২৭)।
এছাড়াও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা অন্যান্য আসামিরা হলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, মাহবুব হাসান পিয়ারু, মো. ইশতিয়াক আহমেদ ইস্তি, কে এম হুমায়ুন কবীর, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, মো. মাসুদ পারভেজ বাবু, হেলাল আহম্মেদ সুমন, একরামুল হক হেলাল, মো. নাজমুল হুদা চৌধুরি সাগর, এবাদুল হক রুবায়েত, চৌধুরী হাসানুর রশীদ মিরাজ, কিমিয়া সাদাত, শেখ সাদী, মো. ফরিদ মোল্ল্যা, গাউস, মো. রবি, মো. জামাল, মো. নাছিম, মো. বেলায়েত শেখ, শেখ সাইফুল্লাহ, মো. সোহেল শেখ, খান জুলফিকার আলী জুলু, মফিজুর রহমান, মো. জিয়াউর রহমান জিয়া, মো. তাজিম বিশ্বাস, আসাদুজ্জামান মিঠু, হাফিজুর রহমান মনি, মো. জাবেদ, খন্দকার হাসানুল ইসলাম নিক, শফিকুল ইসলাম শফি, আবু হোসেন বাবু, শেখ মো. আব্দুল্লাহেল কাফি শখা ও আল আমিন ওরফে সজল।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, সমাবেশে আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। বক্তব্য দিতে দেয়নি। উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। হামলা-মামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে সরকারের পদত্যাগ, মামলা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে বিএনপি। বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। আগে থেকেই সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রাইভেটকারে করে ক্লাবের সামনে আসেন। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকে। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। অপরদিকে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।